Advertisement
Advertisement

পরকীয়ায় বাধা, যুবকের দেহ কুচিকুচি করে ডোবানো হল অ্যাসিডে

খুনের কথা কবুল ধৃত চিকিৎসকের৷

Doctor kills driver
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 6, 2019 12:20 pm
  • Updated:February 6, 2019 12:20 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরকীয়ার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন গৃহবধূর স্বামী৷ তার জেরে যুবককে খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে অ্যাসিডে ডোবানোর অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে৷ মধ্যপ্রদেশের আনন্দ নগরের এই নৃশংস ঘটনার কথা শুনে আঁতকে উঠছেন সকলেই৷ জেরায় অপরাধ কবুল করেছে অভিযুক্ত৷

[জনশূন্য ডাল লেকে কার উদ্দেশে হাত নাড়ছেন মোদি? নেটদুনিয়ায় হাসির রোল]

অভিযুক্ত সুনীল মন্ত্রী হাড়ের চিকিৎসক৷ দীর্ঘদিন ধরেই ওই চিকিৎসকের গাড়ি চালাতেন বছর তিরিশের যুবক বীরেন্দ্র পাচৌরি৷ চিকিৎসক এবং তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ভালই সম্পর্ক ছিল গাড়িচালকের৷ ইতিমধ্যেই শারীরিক অসুস্থতায় চিকিৎসকের স্ত্রী মারা যান৷ মৃত্যুর আগে একটি বুটিক চালাতেন তিনি৷  স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ওই বুটিকের দায়িত্ব গাড়িচালকের স্ত্রীর কাঁধেই তুলে দিয়েছিল চিকিৎসক৷ আর তা নিয়েই দিনকয়েক ধরে ওই গাড়িচালক বীরেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর দাম্পত্য অশান্তি চলছিল৷ স্ত্রীর সঙ্গে চিকিৎসকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলেও সন্দেহ করতেন গাড়িচালক৷ পুলিশ সূত্রে খবর, পথের কাঁটা সরাতে বীরেন্দ্রকে খুনের পরিকল্পনা করে চিকিৎসক সুনীল৷ সেই মতো বাড়িতে একটি ড্রামের মধ্যে অ্যাসিডও জমা করেছিল সে৷ গত সোমবার দাঁতের যন্ত্রণা শুরু হয় গাড়িচালকের৷ চিকিৎসকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলছিলেন ওই যুবক৷ সেই সময় আচমকাই বীরেন্দ্রর উপর হামলা চালায় চিকিৎসক৷ এরপর অপারেশনের ছুরি দিয়ে কেটে ফেলা হয় বীরেন্দ্রর শ্বাসনালি৷ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মুহূর্তের মধ্যেই মারা যায় যুবক৷ গাড়িচালকের দেহের কমপক্ষে ১২টি টুকরো করে চিকিৎসক৷ খুনের প্রমাণ লোপাটের জন্য বাড়িতে জমিয়ে রাখা অ্যাসিডের ড্রামে দেহাংশ ফেলে দেওয়া হয়৷ খুনের পরেরদিন বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে ফেলে দেওয়া হয় বীরেন্দ্রর পোশাকও৷

Advertisement

[‘মমতা বাঘিনীর মতো লড়েছে’, বিজেপিকে কটাক্ষ শিব সেনার মুখপত্রে]

পুলিশ সুপার অরবিন্দ সাক্সেনা জানান, প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেয়৷ সেই অনুযায়ী চিকিৎসকের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা৷ শুরু হয় তল্লাশি৷ পুলিশি অভিযানেই বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় গাড়িচালকের অ্যাসিডে ডোবানো দেহাংশ৷ এছাড়া ঘরেও মেলে রক্তের দাগ৷ গ্রেপ্তারির পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল ওই চিকিৎসক৷ জেরা শুরুর আগেই অপরাধের কথা কবুল করে অভিযুক্ত৷ পরকীয়া সম্পর্কের পথের কাঁটা সরাতেই বীরেন্দ্রকে খুন করেছে বলেও জানায় সে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement