Advertisement
Advertisement

Breaking News

হেনস্থা

হায়দরাবাদে চিকিৎসককে হেনস্তা করোনা আক্রান্তের ছেলের, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু পুলিশের।

Doctor harrased by Covid 19 patient`s son in Hydrabad
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:April 15, 2020 10:07 am
  • Updated:April 15, 2020 10:07 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদে ফের আক্রান্ত এক চিকিৎসক। আইসোলেশনে (Isolation) থাকা এক ব্যক্তির শরীরে করোনার উপসর্গ মেলায় আক্রান্ত ব্যক্তির ছেলে ও তাঁর পরিজনেরা হেনস্তা করেন ওই চিকিৎসককে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রধানমন্ত্রী হোক বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারোর কথাই শুনতে রাজি নন দেশের কিছু মানুষ। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্তা করাই তাদের লক্ষ্য। আইসোলেসনে থাকা ব্যক্তিদের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে বা কোনও ব্যক্তি কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন করোনায় আক্রান্ত হলে তাতে চিকিৎসককেই দায়ী বলে ধরে নিচ্ছেন কিছু মানুষ। হায়দরাবাদেও ধরা পড়ল সেই একই চিত্র। হায়দরাবাদের ওসমানিয়া হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা বছর ৫৫-র এক ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস মেলায় তাঁর ছেলে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে বাক-বিতন্ডায় জড়ায়। তবে শুধুমাত্র চিকিৎসকের সঙ্গে বিতর্কে আবদ্ধ থাকলেও একরকম ছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তি চিকিৎসককে হুমকি দেন ও চিকিৎসককে হেনস্থা করতে শুরু করেন। তবে ঘটনার পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। পরে পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে ও তাকে গ্রেপ্তার করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, “আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে করোনার নমুনা মেলার পরও আক্রান্ত ব্যক্তির পরিজনেদের দাবি তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে। বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে। কিন্তু কর্মরত চিকিৎসক তাঁদের বোঝাতে গেলেই বিপত্তি বাদে। তারা অকথ্য ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন চিকিৎসকের সঙ্গে। এমনকি চিকিৎককে হুমকিও দেন। এরপরেই আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে বাধ্য হই।”

Advertisement

[আরও পড়ুন:বাধা হবে না করোনা, সঠিক সময়েই ভারতের হাতে আসবে এস-৪০০]

ঘটনার পরই হাসপাতালে চিকিৎসকদের তরফ থেকে সুরক্ষার দাবি ওঠে। তারা বলেন, “আমার নিজেদের জীবন বিপন্ন করে এই সময়ে হাসপাতালে এসে কাজ করছি। মানুষকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছি। কিন্তু দিনের শেষে আমাদের প্রাণ সংশয় দেখা দিচ্ছে।” এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সমস্ত কোভিড-১৯ (COVID-19)রোগীদের গান্ধী হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন:আরও অন্তত ১ বছর! করোনার প্রতিষেধক নিয়ে আশা দেখাতে পারছে না WHO]

মঙ্গলবারই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীর ‘সপ্তপদী’-র একটি ছিল করোনা মোকাবিলায় যারা সামনের সারিতে থেকে কাজ করছেন তাঁদের সম্মান করতে হবে। কিন্তু সম্মানের পরিবর্তে অন্ধকারাচ্ছন্ন ও কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে অনেকেই খারাপ আচরণ করছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement