Advertisement
Advertisement

প্রয়াত করুণানিধি, ৯৪ বছরে থামল দক্ষিণী রাজনীতির ‘তালাইভা’র জীবন

দক্ষিণী রাজনীতিতে ইন্দ্রপতন...

DMK patriarch M Karunanidhi passes away
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:August 7, 2018 6:49 pm
  • Updated:August 8, 2018 10:58 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত ডিএমকে প্রধান তথা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধি৷ মঙ্গলবার সন্ধে ৬ টা ১০ মিনিট নাগাদ কাবেরী হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর৷

রক্তচাপ কমে যাওয়ায় গত ২৮ জুলাই কাবেরী হাসপাতালে ভরতি হন ৯৪ বছরের এই প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব৷ এরপর থেকে কখনও তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে কখনও অবনতি৷ মঙ্গলবার দুপুরের পর তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়৷ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল৷ সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে হাসপাতাল।

Advertisement

[রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন ৯ আগস্ট, জোর টক্করে শাসক-বিরোধী]

হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পর থেকেই তাঁকে দেখতে যাচ্ছিলেন দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা৷ ডিএমকে প্রধানকে দেখতে যান, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ড়ু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ প্রভু, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ড়ু, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ সোমবার রাত থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু হয়৷ তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে তাঁর জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা৷ ‘থালাইভা’র মৃত্যুর খবর পেতেই হাসপাতাল চত্বরে ভিড় জমাতে শুরু করেন অনেক ডিএমকে নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা৷

এম করুণানিধি যখন রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর৷ নিজের এলাকাতেই তাঁর বয়সি বা তাঁর থেকে একটু বড় যুবদের নিয়ে সংগঠন তৈরি করেন৷ ছোটবেলা থেকেই তাঁর মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার যে অদম্য শক্তি ছিল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশিত হতে থাকে৷ ধীরে ধীরে রাজনীতিই হয়ে ওঠে তাঁর ধ্যান-জ্ঞান৷ এহেন মনোবল ও সাংগঠনিক ক্ষমতার জোরেই দক্ষিণী ছবির চিত্রনাট্যকার এম করুণানিধি হয়ে ওঠেন ডিএমকে’র শীর্ষ নেতা৷ দীর্ঘ অর্ধশতক বা পঞ্চাশ বছর ধরে এখনও যিনি দাক্ষিণাত্যের রাজনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হয়ে রয়েছেন৷

[অনুপ্রবেশ রুখতে গিয়ে শহিদ সেনাকর্তা-সহ ৪ জওয়ান, নিকেশ ২ জঙ্গি]

কালো চশমা ও হলুদ শাল, নিজস্ব স্টাইলেই দেশবাসীর কাছে পরিচিত এম করুণানিধি৷ ভারতীয় রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে একাধিক ওঠাপড়া দেখেছেন তিনি৷ প্রখ্যাত দক্ষিণী অভিনেতা তথা বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এমজি রামচন্দ্রণের দল এআইএডিএমকে’র কাছে ১৯৯১-এর নির্বাচনে পরাজিত হয়েও ৯৬-তে আবারও নিজ শক্তিতে ফিরে আসেন তিনি৷ ২০০১-তে একইভাবে তাঁর দলকে পরাজিত করেন এআইএডিএমকে নেত্রী জয়ললিতা৷ কিন্তু রাজনীতির আঙিনায় পোড় খাওয়া খেলোয়াড় আবার কামব্যাক করেন ২০০৬-তে৷ ২০১৬-র তামিলনাড়ু নির্বাচনে লড়েও জয় লাভ করেন এই নবতিপর রাজনৈতিক নেতা৷ বার্ধক্যজনিত কারণে দলের রাশ অনেকটাই ছেলে স্তালিন ও মেয়ে কানিমোঝির হাতে তুলে দেন তিনি৷ তবে রাজনৈতিক জীবনের অর্ধশতাব্দী পরেও একইভাবে ভারতীয় রাজনীতির আঙিনায় হয়ে রয়েছেন সমান প্রাসঙ্গিক৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement