সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্ডিয়া জোটের শরিক ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিনের ডাকা বৈঠকে নেই তৃণমূলের প্রতিনিধি। লোকসভা আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে শনিবার চেন্নাইতে বৈঠক ডেকেছেন ডিএমকে প্রধান। তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল এবং বিআরএসের প্রতিনিধিরা সেই আলোচনা সভায় যোগ দিলেও বৈঠকে নেই তৃণমূল। সূত্রের দাবি, লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস ইস্যুতে ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়ে চলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড বা ভুয়ো ভোটারে বিষয়টিই তৃণমূলের কাছে বর্তমানে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপাতত ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অন্যান্য ইস্যু থেকে দূরে থাকতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।
সম্প্রতি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দেশের কয়েকজন অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাসের বিষয়টিতে সতর্ক করেছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন। চেন্নাইতে ২২ মার্চের এই বৈঠকে তৃণমূল নেত্রীকে আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন ডিএমকে নেতা। অথচ আজ, শনিবার লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন মমতা। ফলে তাঁর পক্ষে বৈঠকে যোগ দেওয়া সম্ভব ছিল না। স্ট্যালিনের ডাকা এদিনের বৈঠকে থাকছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। এছাড়াও বিজেডি এবং বিআরএসের প্রতিনিধিরা।
ইন্ডিয়া জোটের শরিক ডিএমকের ডাকা বৈঠকে আরেক শরিক তৃণমূলের ‘গরহাজিরা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে দলীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল লোকসভা পুনর্বিন্যাস ইস্যু নিয়ে এখনই মাঠে নামতে চাইছে না। কারণ তাদের মতে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে ভোটার তালিকায় থাকা ‘ভূত’ খুঁজে বের করা অত্যন্ত জরুরি। নাহলে গোটা ভোটপ্রক্রিয়া প্রভাবিত হবে। গণতন্ত্র সম্পূর্ণ ধ্বংস হবে। এই প্রবণতা রুখতে সংসদ থেকে নির্বাচন কমিশনে জোর লড়াই করছে তৃণমূল। সামনেই ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট। তার আগে ভোটার তালিকা হাতে ব্লকে ব্লকে ‘ভূত’ খুঁজতে নেমেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সবমিলিয়ে দলের অন্দরে আপাতত চূড়ান্ত ব্যস্ততা। তাই সুদূর চেন্নাইয়ে লোকসভা আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে ডাকা বৈঠকে আপাতত প্রতিনিধি পাঠাতে পারল না তৃণমূল, এমনই খবর দলীয় সূত্রে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.