সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ ভারতে কি বড়সড় ভাঙনের পথে কংগ্রেস? কেরলে শশী থারুর ইতিমধ্যেই ‘বেসুরো’। দল ছেড়ে যাই যাই করছেন। এবার জল্পনা শুরু হল কংগ্রেসের ‘ক্রাইসিস ম্যান’ কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারকে নিয়ে।
হঠাৎ শিবকুমারকে নিয়ে জল্পনা কেন? বিতর্কের সূত্রপাত, কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রীর শিবরাত্রি উদযাপন ঘিরে। সদগুরু জাগ্গি বাসুদেবের আমন্ত্রণে ঈশা ফাউন্ডেশনে শিবরাত্রি উদযাপন করেছেন ডিকে। কোয়ম্বাটুরের ঈশা ফাউন্ডেশনের যোগ সেন্টারে শিবরাত্রি পালনের ওই উৎসবে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয়। শিবকুমার অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেছেন কিনা সেটা স্পষ্ট নয়। তবে শিবরাত্রি উদযাপনের পর সোশাল মিডিয়ায় জাগ্গি বাসুদেবের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন ডিকে।
যা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে। এআইসিসির সম্পাদক পিভি মোহন বৃহস্পতিবার শিবকুমারকে নিশানা করে সোশাল মিডিয়ায় লিখছেন, “যে জাগ্গি বাসুদেব রাহুল গান্ধী সম্পর্কে অনমাননাকর মন্তব্য করেছেন। এমন লোকের আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন কেন? তাছাড়া ওর চিন্তাধারা বিজেপি-আরএসএসের মতোই। ওর সঙ্গে এভাবে দেখা করা বা ধন্যবাদ জানানোটা ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের পরিপন্থী।” শুধু পিভি মোহন নন, দলের অন্দরে অনেকেই ডিকে-কে নিয়ে সন্দিহান। এর আগে দলের অবস্থানের উলটো অবস্থান নিয়ে উত্তরপ্রদেশে আয়োজিত মহাকুম্ভের বিরোধিতা করেছেন তিনি।
আড়াই বছর আগে কর্নাটকে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল মূলত শিবকুমার এবং সিদ্ধারামাইয়া জুটিতে ভর করে। সমস্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সির চোখরাঙানি উপেক্ষা করে ডিকে যেভাবে লড়াই করেছিলেন সেটার প্রশংসাও করেন কংগ্রেস নেতারা। শোনা যায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বেশ ঘনিষ্ঠ তিনি। সেসময় ডিকে-কে মুখ্যমন্ত্রী করার জোরালো দাবি ওঠে। কিন্তু গান্ধী পরিবারের হস্তক্ষেপে শেষপর্যন্ত কুরসি পান সিদ্ধারামাইয়া। শোনা যায়, সে সময় ডিকে-কে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, আড়াই বছর বাদে মুখ্যমন্ত্রী বদল করা হবে। কিন্তু তেমনটা হয়নি। সেটাই সম্ভবত তাঁর ক্ষোভের মূল কারণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.