Advertisement
Advertisement

Breaking News

শেখ হাসিনা

কলকাতা বিমানবন্দরে হাসিনাকে অভ্যর্থনায় অনুপস্থিত কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি, বিতর্ক কূটনৈতিক মহলে

অসৌজন্যের পরিচয়, বলছে বিরোধীরা।

diplomats slams NDA government for not welcoming Bangladesh PM

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:November 24, 2019 11:56 am
  • Updated:November 24, 2019 11:56 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুদিন আগেই গোলাপি টেস্টের উদ্বোধনের জন্য কলকাতায় এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যার সঙ্গে দাঁড়িয়ে ম্যাচ শুরুর বেল বাজিয়েছিলেন। ইডেনের বুকে ঐতিহাসিক গোলাপি টেস্টের সাক্ষী হতে পেরে তিনি গর্বিত হয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন। ম্যাচ দেখার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি বৈঠক করেনও তিনি। দুই বাংলা একসঙ্গে আরও অনেক ইতিহাস তৈরি করবে বলেও উল্লেখ করেন। পুরো সময়টাতে বেশ খুশিই মনে হয়েছে তাঁকে।ইডেনে গোলাপি টেস্টের আসরে আসা শেখ হাসিনার অভ্যর্থনায় রাজ্য সরকার কোনও খামতি রাখেনি বলেই জানাচ্ছেন বাংলাদেশের আধিকারিকরা। যাতে খুশি হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যাও।

[আরও পড়ুন: আম্বেদকরের অনুগামীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, রামদেবের গ্রেপ্তারির দাবিতে বিক্ষোভে দলিতরা]

যদিও এবিষয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির খুব ভাল সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা শীর্ষ আধিকারিক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে যাননি। যা অসৌজন্যের পরিচয় বলেই অভিযোগ করছে বিরোধীরা।

Advertisement

তবে এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে কেউ কোনও মন্তব্য করেনি। শুধু আড়ালে-আবডালে কেউ কেউ বলছেন, দেশের মধ্যে এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের প্রধান মুখ হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ভারতে এনআরসি চালু হলে সবথেকে বেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত হবেন বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষরাই। তাই সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে যখন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আসার কথা আছে কেন্দ্রীয় সরকারের। তখন এই দু’জনের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। তাই মানা হয়নি বাঁধাধরা কূটনৈতিক প্রথা।

[আরও পড়ুন: কীভাবে তৈরি হয় রকেট? তথ্য দেবে ন’বছরের খুদের বানানো অ্যাপ]

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না সাউথ ব্লকের কর্তারাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, রাজনীতির বাধ্যবাধকতার জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে দুদেশের সম্পর্কে প্রভাব পড়বে বলেই আশঙ্কা হচ্ছে। একই কথা মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও।

গত অক্টোবরেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দিল্লি বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানানো নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর মন্ত্রিসভার কোনও সিনিয়র সদস্যের বদলে গিয়েছিলেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরি। বিষয়টি ভালভাবে নেননি বাংলাদেশের আধিকারিকরা। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নতুন বিতর্ক তৈরি হল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement