Advertisement
Advertisement

Breaking News

Diamond in Nagaland village

মাটি খুঁড়তেই মিলছে হিরের টুকরো! অভিনব ঘটনার জেরে উত্তেজনা নাগাল্যান্ডে

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে বিশেষজ্ঞদের পাঠিয়েছে প্রশাসন।

‘Diamond rush’ in Nagaland village, govt deputes geologists to investigate । Sangbad Pratidin
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:November 27, 2020 9:04 pm
  • Updated:November 27, 2020 9:04 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগাল্যান্ডের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় মাটি খুঁড়লেই বেরিয়ে আসছে হিরের টুকরো! আর মহামূল্যবান সেই রত্নের সন্ধানে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে পাশাপাশি মাটি খুঁড়ছেন। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনার ভিডিও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে নাগাল্যান্ডের প্রশাসনিক মহলে। এরপরই মুন জেলার ওয়ানচিং (Wanching গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গল এলাকায় ভূতত্ত্ববিদদের পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন-চারদিন আগে মন জেলার ওই অঞ্চলে মাটি খুঁড়তে গিয়ে হিরে (Diamond) -এর মতো দেখতে কিছু পাথর খুঁজে পান স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের এলাকার মানুষরা এসে মাটি খুঁড়তে শুরু করেন। পরে সেই মাটি খোঁড়া ও তার তলা থেকে হিরের মতো উজ্জ্বল পাথর বেরিয়ে আসার ভিডিও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতেই দলে দলে লোক জমতে থাকে ওয়ানচিন গ্রামে। এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় অবস্থিত হওয়া এখনও পর্যন্ত সেখানে পৌঁছতে পারেননি উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তবে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে বহিরাগতদের বিনা অনুমতিতে ওই গ্রামে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদেরও এই সংক্রান্ত কোনও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করতে নিষেধ করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাক্ষরিত মউ চুক্তি, বাংলাদেশকে ৩ কোটি করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ দেবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট]

শুক্রবার এবিষয়ে একটি নোটিস জারি করা হয় নাগাল্যান্ডের ভূতত্ত্ব ও খনি দপ্তরের পক্ষ থেকে। দপ্তরের অধিকর্তা এস মানেনের সই করা ওই নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনাস্থলে চার জন ভূতত্ত্ববিদকে পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা ওই গ্রামে নভেম্বরের ৩০ তারিখ কিংবা ডিসেম্বরের ১ তারিখ নাগাদ পৌঁছে যাবেন। তারপর এলাকাটি ভাল করে পরিদর্শন করার পাশাপাশি পাথরগুলি খতিয়ে দেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিপোর্ট জমা করবে।

যদিও নাগাল্যান্ড (Nagaland) -এর কয়েকজন ভূতত্ত্ববিদের দাবি, হিরের সন্ধান মাটির উপরের স্তরে পাওয়া যাওয়ার কথা নয়। ওইগুলি উন্নত প্রজাতির স্ফটিক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু, কিছু মানুষ গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। সরকারি প্রতিনিধিরা গিয়ে সঠিকভাবে খতিয়ে দেখলেই সত্যিটা সামনে আসবে।

[আরও পড়ুন: দেশের ৭৭% করোনা অ্যাকটিভ কেসের জন্য দায়ী বাংলা-সহ ১০ রাজ্য, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement