সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে দাঁড়িয়ে নিটে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ কার্যত মেনে নিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তবে তাঁর দাবি, যে বেনিয়ম হয়েছে, সেটা অতি সামান্য এবং একটি মাত্র পরীক্ষাকেন্দ্রকে কেন্দ্র করে। যদি এটা নিয়ে জবাবদিহি করতেই হয়, তাহলে সেটা সার্বিকভাবে করতে হবে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে।
সোমবার অধিবেশনের শুরুতেই নিট নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে ধরেন বিরোধীরা। একযোগে বিরোধীরা দাবি করেন, নিটে ‘অনিয়মের’ ফলে ২৪ লক্ষ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। লাগাতার প্রশ্নফাঁস রুখতে কেন্দ্র কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে জানতে চাওয়া হলে ধর্মেন্দ্র দাবি করেন, “NTA গঠন করার পর গত সাত বছরে কোনওরকম প্রশ্নফাঁসের কোনও প্রমাণ নেই। গত সাত বছরে দেশে ২৪০টি পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু কোনওটিতেই প্রশ্নফাঁস হয়নি। ৭০ তো দূর, একটিও না!”
তবে নিটে যে বেনিয়ম হয়েছে সেটা মেনে নিয়েছেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর দাবি, “সম্প্রতি যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বিহারের পাটনার কাছাকাছি একটি এলাকায় একটিমাত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে হয়েছে। বিহার পুলিশের সক্রিয়তার কারণে ধরা পড়েছে। সিবিআইও তদন্ত শুরু করেছে। বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির এজলাসে আছে। সমস্ত তথ্যও প্রকাশ্যে এসেছে।” ইস্তফা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই কার্যত ফুঁসে ওঠেন মন্ত্রী।
তিনি স্পষ্ট করে বলে দেন, “আমি নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) স্যারের ইচ্ছায় এই সরকারে আছি। দায়বদ্ধতার প্রশ্ন যখন আসবে, দায়িত্ব নেওয়ার প্রশ্ন যখন আসবে, আমার সরকার একজোট হয়ে তার উত্তর দিতে বাধ্য।” যা শুনে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন রাহুল গান্ধী। বিরোধী দলনেতা বলেন, “আপনি তো দেখছি, নিজেকে ছাড়া সবাইকে দায়ী করছেন। দেশের কোটি কোটি মানুষ জানেন, এ দেশে পয়সা থাকলেই পরীক্ষা ব্যবস্থাকে কিনে নেওয়া যায়।” পালটা দেন ধর্মেন্দ্র। তিনি আবার বলেন, “বিরোধী দলনেতা যে ভাবে দেশের পরীক্ষা ব্যবস্থার নিন্দা করছেন, তা নিন্দনীয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.