সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে ভরতি করা হলেও লালারস পরীক্ষা করা হচ্ছে না। এমনকী, সন্দেহভাজনের মৃত্যুর পর অতি সাধারণভাবেই তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হচ্ছে। ফলে করোনার জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রে এরকম একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি দিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। তাঁর এই চিঠি ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। একইসঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সঠিকভাবে আইসিএমআরের গাইডলাইন মেনে চলার আবেদন জানিয়েছেন।
দেশের মধ্যে সর্বাধিক করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে মহারাষ্ট্রেই। আরব সাগরের তীরের এই রাজ্য এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক মৃত্যু দেখেছে। কেন্দ্র সরকারের আরোগ্য সেতু অ্যাপের তথ্য অনুযায়ী, মারাঠাভূম মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২১৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ২১৫ জনের। তবে সুস্থ হয়েছেন ৭২২ জন। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন এমন কয়েকজনের চিকিৎসার নথি ওই চিঠির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়েছেন তিনি। চিঠিতে দেবেন্দ্র ফড়ণবিস লেখেন, “করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ওঁদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। কিন্তু লালারস পরীক্ষা করা হয়নি। যখন রোগীরা মারা যায়, মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা হয়েছে কোভিড-১৯ সন্দেহভাজন। অথচ মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এমনকী, আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো দেহ দাহ করা হয়েছে।” তিনি আরও লেখেন, “এটা হয়তো রাজ্যের আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে দেখাতে সাহায্য করবে। কিন্তু জীবাণু ছড়িয়ে পডজ়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে”। দেবেন্দ্র ফড়ণবিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, “শুধুমাত্র নায়ার হাসপাতাল থেকে এধরণের ৪৪টি দেহ ছাড়া হয়েছে।” এরকম আরও অনেক হাসপাতাল রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.