সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে সাভারকরকে নিয়ে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বক্তব্যের বিরোধিতা, পরে আদানি ইস্যুতে কতকটা বিজেপির সুরেই কথা বলতে শোনা গিয়েছে শরদ পওয়ারকে (Sharad Pawar)। এরপর টুইট করে এনসিপি সুপ্রিমোকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন কংগ্রেস নেত্রী অল্কা লম্বা (Alka Lamba)। তিনি শরদ পওয়ারকে ‘লোভী’ বলেন। সঙ্গে আদানি ও শরদের একটি পুরোনো ছবি পোস্ট করেন। এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) রাজনৈতিক মহলে ধুন্ধুমার শুরু হয়েছে। পালটা অল্কা এবং রাহুল গান্ধীকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis)। গেরুয়া নেতার মন্তব্য, রাহুল গান্ধী ভারতের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বিকৃত করছেন।
ঘটনা পরম্পার সূত্রপাত সপ্তাহ খানেক আগে। সাভারকারকে নিয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার। তিনি বলেন, “এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে হিন্দুত্ববাদী নেতা সাভারকারের অবদানকে কেউ অস্বীকার করতে পারেন না। কেউ তাঁর মতাদর্শের সঙ্গে সহমত নাও হতে পারেন। তবে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সেটা কোনও জাতীয় বিষয় হতে পারে না। কারণ, নজর দেওয়ার জন্য আরও অনেক ইস্যু রয়েছে।” কংগ্রেস পাওয়ারের এই মন্তব্যই চটে যায়।
এরপর আদানি ইস্যুতে বিজেপির সুরে মন্তব্য করেন প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা। বলেন, “আমি মনে করি হিন্ডেলবার্গ রিপোর্টে আদানিদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।” কংগ্রেসের জেপিসি চাওয়া নিয়ে তাঁর মন্তব্য, “হয়তো কংগ্রেস বিষয়টাকে জিইয়ে রাখতে চায়।” আরও বলেন, “আমি মনে করি আদানি প্রসঙ্গকে প্রয়োজনের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। হিন্ডেলবার্গের নাম ক’জন জানত? তাদের রিপোর্টে হইচই পড়ে গেল, অথচ তা যে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে আঘাত করল, আমাদের দেশের ক্ষতি হল, সেই বিষয়ে কেউ ভাবছেন না।”
এর পরেই পওয়ারকে ‘লোভী’ বলে আক্রমণ করেন কংগ্রেস নেত্রী অল্কা লম্বা। টুইট করেন, “ভীতু-লোভীরা আজ ব্যক্তিগত স্বার্থে স্বৈরাচারী ক্ষমতাবানদের জয়গান গাইছে। দেশের মানুষের লড়াই রাহুল গান্ধী একাই লড়ছেন। পুঁজিবাদী চোরদের সঙ্গে লড়াই করছেন, পাশাপাশি চোরদের রক্ষাকারী প্রহরীদের সাথেও লড়ছেন তিনি।” এরপরই উত্তাপ বাড়ে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে। কংগ্রেস নেত্রীর বিরোধিতায় সরব হয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। অল্কার পাশাপাশি তিনি রাহুল গান্ধীকেও আক্রমণ করেছেন।
পালটা টুইটে তিনি লেখেন, “রাজনীতি আসবে এবং যাবে তবে একজন কংগ্রেস নেতার এই টুইট ভাবা যায় না। দীর্ঘ ৩৫ বছরের জোটসঙ্গী এবং ভারতের অন্যতম প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা তথা মহারাষ্ট্রের চার বারের মুখ্যমন্ত্রীকে এহেন মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক।” এরপরেই ফড়নবিশের মন্তব্য, “রাহুল গান্ধী ভারতের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বিকৃত করছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.