ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার রাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের একাধিক এলাকা৷ রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫.৮৷ ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল উত্তরাখণ্ডের রূদ্রপ্রয়াগ। ভূমিকম্পে কোনও বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই জানা গিয়েছিল। তবে অনেক বড় চিন্তার কথা শুনিয়ে রাখলেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের গবেষণা বলছে, অদূর ভবিষ্যতে নেপালের থেকেও ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে পড়বে উত্তর ভারত।
হিমালয়ান জিওলজির ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউশনের (ডব্লিউআইএইচজি) বিজ্ঞানীরা ভূমিকম্পের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর ৪৫ কিলোমিটার বেগে ইউরেশিয়ান প্লেটের দিকে ধেয়ে আসছে ভারতীয় প্লেট। আর সেই কারণেই ভয়ংকর কম্পনে বিরাট ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হবে উত্তর ভারতকে। ২০১৫ সালে নেপালে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭.৯। রাতারাতি তছনছ হয়ে গিয়েছিল সাজানো নেপাল। প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। শয়ে শয়ে পরিবার ঘর ছাড়া হয়েছিল।
ডব্লিউআইএইচজি-র সিনিয়র বিজ্ঞানী ডক্টর সুশীল কুমার জানাচ্ছেন, প্রত্যাশার থেকে অনেক আগেই উত্তর ভারতে ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হবে।
গত দেড়শ বছরে হিমালয় ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে মোট চারটি বড় ভূমিকম্প হয়েছে। যার মধ্যে ১৯৩৪ সালের নেপাল-বিহার, ১৯৫০-এ উত্তর অসম ও কাংরা এবং ১৯০৫-এ হিমাচলপ্রদেশের ভূমিকম্প উল্লেখযোগ্য। তবে ২০১৫ নেপাল ভূমিকম্পের পর এই অঞ্চল ভয়ংকর ভূমিকম্পের সাক্ষী হয়নি। কিন্তু প্রলয় আসতে যে বেশি দেরি নেই, তারই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন গবেষকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.