Advertisement
Advertisement

Breaking News

হাসপাতালে কান্না বাবার

মৃত সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে হাসপাতাল চত্বরেই অঝোরে কান্না বাবার, ভাইরাল ভিডিও

হাসপাতালের গাফিলতিতেই শিশুটি মারা গিয়েছে বলেই অভিযোগ দম্পতির।

Devastated parents cling to baby’s body in UP hospital
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 30, 2020 9:51 am
  • Updated:June 30, 2020 9:51 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্বরটা ছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। সঙ্গে ফুলে গিয়েছিল ঘাড়ও। অসুস্থ শিশুকে নিয়ে তাই হাসপাতালে গিয়েছিলেন বাবা-মা। কিন্তু চিকিৎসকরা চিকিৎসা করতে রাজি হয়নি। বদলে নিদান দেওয়া হয়েছিল কানপুরের (Kanpur) হাসপাতালে নিয়ে যেতে। সেই সময় আর দেয়নি শিশুটি। হাসপাতাল চত্বরেই মৃত্যু হয় তার। মৃত সন্তানকে জড়িয়ে ধরে হাসপাতাল চত্বরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা-মা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই দৃশ্যের ভিডিওটি।

Baby
হৃদয়বিদারক এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh)। আরও স্পষ্ট করে বললে রাজধানী লখনউ থেকে ১২৩ কিলোমিটার দূরে কনৌজের সরকারি হাসপাতালের। শিশুসন্তানকে জড়িয়ে বাবা-মায়ের কান্না মোবাইলে রেকর্ড করেন এক ব্যক্তি। ১২ সেকেন্ডের সেই ভিডিওই পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।

Advertisement

কিন্তু হাসপাতালের ডাক্তাররা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মৃত শিশুটির নাম অনুজ। তার বাবার নাম প্রেমচাঁদ। মায়ের নাম আশা দেবী। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, প্রেমচাঁদ মৃত শিশুটিকে আঁকড়ে ধরে কাঁদছেন। সামান্য দূরে বসে কাঁদছেন তাঁর স্ত্রী। আরও একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গিয়েছে, শিশুটি হাসপাতালের এমার্জেন্সি বেডে শুয়ে আছে। এক চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করছেন।

[আরও পড়ুন: কেন্দ্রের ডিজিটাল স্ট্রাইক! TikTok, Helo-সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ]

প্রেমচাঁদ জানিয়েছেন, প্রথমে তাঁকে চিকিৎসকরা বলেছিলেন, ছেলেকে কানপুরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কিন্তু অত দূরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য ছিল না। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন আমাদের ভিডিও তুলতে শুরু করে। তারপরই চিকিৎসকরা সক্রিয় হন। পুত্রসন্তানকে পরীক্ষা করেন। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, মৃত শিশুর মা আশা দেবী বলেন, “বাচ্চার ঘাড় ফুলে গিয়েছিল। ডাক্তাররা আমাদের ৩০-৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে বাধ্য করেছিলেন। তারপর বাচ্চাকে হাসপাতালে ভরতি করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সে মারা যায়।” অবহেলা, সময় নষ্টের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। রবিবার বিকেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। জরুরি বিভাগে ভরতি করা হয়। শিশুটির অবস্থা সংকটজনক ছিল। আধঘণ্টার মধ্যেই সে মারা যায় বলেই দাবি চিকিৎসকদের। কনৌজ প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় অফিসার রাজেশ কুমার মিশ্র বলেন, “চিকিৎসকরা শিশুটিকে বাঁচাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে গাফিলতির প্রমাণ মেলেনি।”

[আরও পড়ুন: চরম অমানবিকতা! গাছে ঝুলিয়ে ‘খুন’ করা হল হনুমানকে, হাততালি দিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement