সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লার (Farooq Abdullah) গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ আরও ৩ মাস বাড়ানো হল। ৩৭০ ধারা বাতিলের আগে থেকেই জন-নিরাপত্তা আইনে বন্দি রাখা হয়েছে তাঁকে। রাজ্যের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী নিজের বাড়িতেই রয়েছেন। বাড়িটিকে সাব-জেল হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার তাঁর বন্দিত্বের মেয়াদ আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। যার সমালোচনায় সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি টুইট করেন, ‘খুবই দুঃখজনক বিষয়। আমাদের মতো গণতান্ত্রিক দেশে এসব ঘটছে। এগুলি সবই অসাংবিধানিক পদক্ষেপ।’ মমতা একা নন, অন্য বিরোধীরাও সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
Farooq Abdullah detention extended by three months under Public Safety Act… This is a very sad state of affairs. In our democratic country this is happening. These are unconstitutional steps
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 14, 2019
গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এবং ৩৭০ ধারা বাতিল করে কেন্দ্র। জম্মু ও কাশ্মীরকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়। তারপর থেকেই রাজ্যের বহু রাজনৈতিক নেতা আটক ও গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন। চলতি মাসের গোড়ায় চিঠি লিখে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন ফারুক। কেন তাঁকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিতে দেওয়া হল না? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “আমরা কেউ অপরাধী নই। কিন্তু, সংসদের একজন প্রবীণ সদস্য ও রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে যে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।” চিঠিটি প্রকাশ্যে আনেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। উল্লেখ্য, জন-নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তিকে দু’বছর পর্যন্ত বিনা বিচারে আটক করা যেতে পারে।
বাস্তবে এই প্রথম কোনও মূল ধারার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সাংসদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। সাধারণত, জঙ্গি-বিচ্ছিন্নতাবাদী বা পাথার ছোঁড়ায় যুক্তদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হত। কাঠ পাচার রুখতে ১৯৭৮-এ ফারুকের বাবা শেখ আবদুল্লা এই আইন চালু করেছিলেন। ফারুকের সঙ্গেই তাঁর ছেলে ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি-সহ বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আপাতত আটক হয়ে রয়েছেন। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে জানান, এ ব্যাপারে কেন্দ্র কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। পরিস্থিতি বুঝে স্থানীয় প্রশাসন রাজনৈতিক নেতৃত্বের মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.