সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ কাজের খোঁজে বেরিয়েছিলেন। কেউ বা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। আজেমেড় দরগা দর্শন করে ফিরছিলেন আরেকজন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছতে পারলেন না কেউই। চলন্ত মুম্বই-জয়পুর এক্সপ্রেসে (Mumbai-Jaipur Express) আরপিএফ কনস্টেবলের গুলিতে প্রাণ হারালেন তাঁরা। তিনজন যাত্রীর পাশাপাশি মারা গিয়েছেন এক আরপিএফ এএসআইও। চলন্ত ট্রেনে কেন আচমকা এলোপাথাড়ি গুলি চালালেন ওই আরপিএফ (RPF) কর্মী, সেই নিয়ে একাধিক তত্ত্ব উঠে আসছে। তার মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে মৃত তিন যাত্রীর নাম ও পরিচয়।
জানা গিয়েছে, মৃত তিন যাত্রীর নাম যথাক্রমে সৈয়দ সইফুল্লা, আবদুল কাদির মহম্মদ ও আসগর শেখ। কাজের সন্ধানে প্রথমবার মুম্বই যাচ্ছিলেন আসগর। জয়পুরে চুড়ি তৈরির কাজ করতেন তিনি। কিন্তু আরও বেশি বেতনের আশায় মুম্বইয়ে কাজ খুঁজতে বেরিয়েছিলেন ৪৮ বছরের আসগর। জানা গিয়েছে, চার কন্যা ও এক পুত্র রয়েছে আসগরের।
আরেক মৃত যাত্রী আবদুল কাদির মহম্মদ মহরম উপলক্ষ্যে নিজের গ্রামে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। কয়েকদিন আগেই দুবাই চলে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন আবদুলের পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু নথিপত্রের সমস্যা থাকার কারণে যেতে পারেননি তিনি। মহারাষ্ট্রে ফেরার সময়েই আরপিএফের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়েই দুবাই থেকে ভারতে ফিরে এসেছেন আবদুলের দুই পুত্র ও পরিবারের অন্য সদস্যরা।
গুলিতে মৃত সৈয়দ সইফুল্লা গিয়েছিলেন আজমেড় দরগা পরিদর্শনে। এক সহকর্মীর সঙ্গে ফেরার পথেই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি। জানা গিয়েছে, তিন কন্যার পিতা ছিলেন মৃত সৈয়দ। মাত্র ছ’মাস আগেই জন্ম হয় তাঁর তৃতীয় শিশুকন্যার। প্রসঙ্গত, চলন্ত ট্রেনে গুলি চালানোর ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত চলছে। তবে অভিযুক্ত আরপিএফ কেন বেছে বেছে মুসলিম যাত্রীদেরই গুলি করে মারল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রেল কর্তাদের মধ্যেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.