ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আতঙ্কের নয়া নাম হতে পারে পঙ্গপাল (Locust)। জয়পুর, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশে তাণ্ডব চালিয়ে এই পতঙ্গের দল হামলা চালাতে প্রবেশ করেছে মহারাষ্ট্রে। আর একবার প্রবেশ করলে ক্ষেতের পর ক্ষেতে অবলীলায় ধ্বংসের খেলা চালাবে এই ছোট্ট পতঙ্গের দল। সেই চিন্তাই এবার ভাবাচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকারকে। চিন্তায় মাথায় হাত কৃষকদের।
একে করোনার দাপটে প্রাণ ওষ্ঠাগত। তার সঙ্গে দোসর হল নতুন সমস্যা, পঙ্গপাল। রাজস্থানের পর এই পঙ্গপালের দল হামলা চালিয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে মধ্যপ্রদেশ। এবার পালা মহারাষ্ট্রের। এই রাজ্যের বিদর্ভ (Vidarbha) জেলা-সহ বাকি ৪টি জেলাতে হামলা চালাতে পারে পঙ্গপালের দল। এই পরিযায়ী পতঙ্গের দলকে নিয়ে তাই অশনি সংকেত দেখছে উদ্ধব ঠাকরের সরকার। রাজ্যের যুগ্ম কৃষি আধিকারিক রবীন্দ্র ভোঁসলে, “মহারাষ্ট্রে অমরাবতী জেলা থেকে এই রাজ্যে প্রবেশ করে। পরে পঙ্গপালের দল ওয়ারধা (Wardha) ও নাগপুরে প্রবেশ করে হামলা চালাবে। কেন্দ্রের তরফ থেকে কীটনাশকের একটি দল বারংবার আমাদের পতঙ্গের গাতিবিধি সম্পর্কে জানান দিচ্ছে। আমরা সেই তথ্য গ্রামের কৃষকদের কাছে পৌছে দিয়ে তাদের সতর্ক করার চেষ্টা করছি। শুধুমাত্র রবি শস্য নয় সবধরণের ফসলের জন্য এই পতঙ্ক অত্যন্ত ক্ষতিকারক।” পঙ্গপাল নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে জেলাগুলিতে। ক্ষেতে ও ফসলের মধ্যে রাসায়নিক স্প্রে করার জন্য একটি বিশেষ দলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেক সময় ক্ষেতে দাতবল বাসনের শব্দ করে পতঙ্গের দলকে তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। আপাতত জেলা শাসকের তত্ত্বাবধানে জালালখেদায় রাস্তার ধারে রাসায়নিক স্প্রে করানো হচ্ছে। কারণ এই রাস্তার পাশেই নয়া আস্তানা তৈরি করেছে পঙ্গপাল। রাজ্যের যুগ্ম কৃষি আধিকারিক রবীন্দ্র ভোঁসলে আরও বলেন, “একটাই স্বস্তি যে, এই পতঙ্গের দল রাতে কথনও ক্ষেতে হামলা চালায় না। দিনের বেলাতেই এরা হাওয়ার গতিবেগের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়ে খেয়াল রাখছি।”
দেশের গোবলয়গুলিকে ছুঁয়ে পঙ্গপালের দল উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ হয়ে মহারাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে। ছোট্ট পাখায় ভর করে সুদূর দেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেও ক্লান্ত নয় পঙ্গপালের দল। অনায়াসেই হামলা চালাতে পৌছে যাচ্ছে একের পর এক রাজ্যে। হাওয়ার অভিমুখে ক্ষতি করছে একের পর এক ফসলি জমি। ফলে ক্রমেই আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনাচ্ছে কৃষকদের মুখে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.