Advertisement
Advertisement

Breaking News

ঋণ

ঋণ দিচ্ছে না ব্যাংক, ধার মেটাতে কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন কৃষকের

নীরব মোদিরা ঋণ পেলেও ব্রাত্য গরিব কৃষকরা!

Denied loan by govt banks, UP farmer puts up kidney for sale
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:August 23, 2019 12:08 pm
  • Updated:August 23, 2019 12:08 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলিও নিজেদের সামর্থ্যের মধ্যে চেষ্টা করছে মানবসম্পদ উন্নয়নের। এর জন্য সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর ঋণের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, সেসব যে শুধুই কথার কথা তা ফের প্রমাণ হল উত্তরপ্রদেশের এক কৃষকের জীবনে। নীরব মোদি থেকে মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়া থেকে সদ্য গ্রেপ্তার হওয়া কমল নাথের ভাগনে রাতুল পুরি। বড় বড় শিল্পপতি ঋণ না মিটিয়ে দেশ ছেড়ে পালালেও আরও নতুন নতুন শিল্পপতি ঋণ পান। কিন্তু, সরকারি প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় ঋণ পাচ্ছেন না উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলার ছত্তর সালি গ্রামের রাম কুমার। বাধ্য হয়ে ধার মেটানোর জন্য নিজের কিডনি বিক্রি করার চেষ্টা করছেন তিনি। এর জন্য পোস্টার ছাপিয়ে গ্রামের বিভিন্ন জায়গাতেও লাগিয়েছেন।

[আরও পড়ুন: রূপকুণ্ডের জলে রহস্যময় হাড় কার? ফাঁস করলেন বিজ্ঞানীরা]

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছত্তর সালি গ্রামের ৩০ বছরের যুবক রাম কুমার চাষাবাদের পাশাপাশি পশুপালনেও আগ্রহী ছিলেন। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার অধীনে ডেয়ারি ফার্ম সংক্রান্ত একটি কোর্সও করেন। কিন্তু, প্রশিক্ষণ শেষের পরে ডেয়ারি ফার্ম খুলতে গিয়েই সমস্যায় পড়েন তিনি। প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য এলাকার সমস্ত সরকারি ব্যাংকে আবেদন জমা করলেও কেউ পাত্তা দেয়নি। সবাইকে প্রধানমন্ত্রী কৌশল
বিকাশ যোজনার অধীনে নেওয়া প্রশিক্ষণের শংসাপত্র দেখালেও লাভ হয়নি। এদিকে পশুপালন ও দুগ্ধ উৎপাদনের জন্য ছোটখাটো একটি ডেয়ারি ফার্মও খুলে ফেলেছিলেন তিনি। কয়েকটা গরু কিনেছিলেন। আর তাদের রাখার জন্য বানিয়ে ছিলেন একটি ঘর। এর জন্য ধার নিয়েছিলেন ঘনিষ্ঠ কিছু আত্মীয়দের কাছ থেকে। আশ্বাস দিয়েছিলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার পরেই তাঁদের টাকা মিটিয়ে দেবেন বলে।

Advertisement

কিন্তু, কোনও ব্যাংক ঋণ দিতে রাজি না হওয়ায় সমস্যা বাড়ে। কিছুদিন অপেক্ষা করার পর বাড়িতে চড়াও হন আত্মীয়রাও। ধার নেওয়া টাকা শোধ করার জন্য ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে রাম কুমারের উপর। এর ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। টাকা জোগাড়ের কোনও উপায় না দেখে সিদ্ধান্ত নেন নিজের কি়ডনি বিক্রি করে ধার শোধ করবেন। কিন্তু, কীভাবে বিক্রি করবেন তার কোনও পথ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত পোস্টার ছাপিয়ে স্থানীয় এলাকায় লাগিয়ে কিডনি বিক্রির চেষ্টা করলেন তিনি।

[আরও পড়ুন: জাতপাতের লড়াইয়ে আটকাল শেষযাত্রা! ব্রিজ থেকে ঝুলিয়ে নামানো হল দলিতের দেহ]

এপ্রসঙ্গে সাহারানপুর ডিভিশনাল কমিশনার সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘এই সম্পর্কে কিছুই জানতাম না আমি। সংবাদমাধ্যম সূত্রেই পুরো বিষয়টা জানতে পেরেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তারপর বলতে পারব রাম কুমারকে ব্যাংক কেন ঋণ দেয়নি।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement