সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “আইসিইউ’তে চলে গিয়েছে গণতন্ত্র”- জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাকে এভাবেই বর্ণনা করলেন মাক্কাল নিধি মাইয়াম দলের প্রতিষ্ঠাতা তথা দক্ষিণী সুপারস্টার কমল হাসান। নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের (Citizenship Amendments Act) বিরোধিতায় বিক্ষোভ প্রদর্শনকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে যেভাবে কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, তা দেখে প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন কমল। পাশাপাশি নবপ্রজন্মের রাজনৈতিক মনস্কতা এবং সামাজিক ইস্যু নিয়ে সরব হওয়াকে সমর্থন জানিয়েছেন মাক্কাল নিধি মাইয়াম দলনেতা।
১৭ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার এক ছাত্রআন্দোলনের সমর্থন বক্তব্য রাখতে গিয়ে কমল হাসান বলেন, আম জনতার সঙ্গে ছাত্রসমাজকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। এরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তরুণদের রাজনৈতিক বিষয়ে সচেতন হওয়া এবং প্রশ্ন তোলার মধ্যে কোনওরকম ভুল দেখছি না। কিন্তু যখন তাদের বাকরুদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়, তার মানে গণতন্ত্র বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এককথায় “আইসিইউ’তে রয়েছে গণতন্ত্র”।
সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে কমল হাসানের দল মাক্কাল নিধি মাইয়াম। অসম, ত্রিপুরা ও দিল্লির হিংসার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। নিজের মন্তব্যের স্বপক্ষে কমলের মত, রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার পুরো অধিকার রয়েছে আগামী প্রজন্মের। এবং রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার। আর তাদের সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য রাষ্ট্র এবং সরকার। কিন্তু যদি অন্যায়ভাবে কণ্ঠরোধ করা হয়, তাহলে বলতে হবে- নাভিশ্বাস উঠেছে গণতন্ত্রের।
কমল আরও বলেন, আঘাত করে শিক্ষার্থীদের দমিয়ে দেওয়া যাবে না। আর ওদের দমনের চেষ্টা মানেই দেশের সংবিধান, স্বাধীনতার ওপর আঘাত হানা। ভাবী প্রজন্মকে কেন তার কাজের সদুত্তর দিতে পারছে না এই প্রজন্ম? তাই ভয় পেয়ে, হুমকি দিয়ে, শারীরিক নিগ্রহ করে থামিয়ে দিতে চাইছে ওদের। নয়া নাগরিকত্ব আইন এখন আর দেশ বা কেন্দ্রের অধীনস্থ নয়। এটি এখন জাতীয় বিষয়। আর এই বিষয়ে কথা বলার অধিকার রযেছে সমস্ত দেশবাসীর। উত্তর নেই বলে এভাবে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে, লাঠিচার্জ করে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হবে শিক্ষার্থীদের? এটা কোন ধরনের সভ্যতা? প্রশ্ন তুলেছেন দক্ষিণী সুপারস্টার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.