সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবন্ত সদ্যোজাতকে মৃত বলে ঘোষণা করার অভিযোগ তো ছিলই। এবার ওই শিশুটির বাবা দাবি করলেন, তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল দিল্লির ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকী, স্ত্রীর বাঁচার সম্ভাবনা যাতে বাড়ে, সেইজন্য অতিরিক্ত ৩৫ হাজার টাকাও চাওয়া হয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর-এ দুটি অভিযোগ উল্লেখও করেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতি ও অতিরিক্ত অর্থ দাবি রুখতে আইন করার দাবি করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
[মর্মান্তিক! জীবিত শিশুকেই ‘মৃত’ ঘোষণা বেসরকারি হাসপাতালে]
দিল্লির অন্যতম নামী বেসরকারি হাসপাতালে ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। শালিমার বাগের এই হাসপাতালেই ৩০ নভেম্বর যমজ সন্তানের জন্ম দেন এক মহিলা। পরিবারের লোকেদের দাবি, চিকিৎসকরা প্রথমে জানিয়েছিলেন, একজন শিশু মারা গিয়েছে। অপরজন জীবিত। পরে অবশ্য জানানো হয়, অপর শিশুটিরও মৃত্যু হয়েছে। এমনকী, হাসপাতাল থেকে প্লাস্টিক মুড়ে দুটি মৃতদেহও পরিবারকে দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, শেষকৃত্যের নিয়ে যাওয়ার সময়ে প্লাস্টিকে নড়াচড়ার শব্দ পান তাঁরা। প্লাস্টিক খুলতে দেখা যায়, একজন শিশু বেঁচে আছে। তড়িঘড়ি শিশুটি অন্য হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন শিশুটি। তার অবস্থা কিছুটা হলেও আশঙ্কাজনক।
[লাগাতার জঙ্গিদমন অভিযান, গ্রেপ্তার ডেভিড হেডলি ঘনিষ্ঠ এক জঙ্গি]
এদিকে, ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশুটির বাবা। জানা গিয়েছে, পুলিশকে তিনি বলেছেন, হাসপাতালের চিকিৎসক বলেছিলেন, সদ্যোজাতকে নার্সারি রাখতে চাইলে, ৫০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। শুধু তাই নয়, শিশুরটির বাবার অভিযোগ, ভরতির সময়ে বলা হয়েছিল, তাঁর স্ত্রীর বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র ১৫ শতাংশ। তাঁকে তিনটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরমর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তাতে বাঁচার সম্ভাবনা বাড়বে। তিন ইঞ্জেকশনের দাম ৩৫ হাজার টাকা। শিশুর বাবা অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের বিরুদ্ধে অনিইচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
[ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণে ইসরো, জোরকদমে চন্দ্রাভিযানের প্রস্তুতি]
এদিকে, এই ঘটনার টুইট করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর টুইট, ‘আমার বেসরকারি হাসপাতালের স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দিই। হাসপাতালে কাজকর্মেও নাক গলাতে চাই না। কিন্তু, কয়েকটি হাসপাতাল রোগীদের চিকিৎসার নামে চরম অবহেলা করছ। টাকা লুঠ করছে। এসব ঠেকাতে আইনি ব্যবস্থা থাকা দরকার।’
Whereas we value the independence of pvt hospitals and do not wish to interfere in their functioning, however, there ought to be a legal framework to check open loot and criminal negligence by a few blacksheep https://t.co/EDpJrlCxyk
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) 3 December 2017
[OMG! ভারতীয় পদও রাঁধতে পারেন বারাক ওবামা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.