সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : ধূমপানে অস্বস্তি হচ্ছিল। তাই প্রকাশ্যে ধূমপান করার প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁরা। সেটাই কাল হল। প্রতিবাদ করায় রাগে দুই বাইক আরোহীকে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা মারার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গুরুতর আঘাতে এক বাইক আরোহীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিল্লির এইমস হাসপাতালের কাছে।
গুরপ্রীত সিং ও মনিন্দর সিং নামে দুই যুবক দিল্লির ফুটপাথবাসীদের জীবন নিয়ে একটি তথ্যচিত্রের শ্যুটিং করতে যান। তাঁদের পরিবারের দাবি, সফদরজঙ্গ হাসপাতালের কাছে একটি দোকানে যখন নৈশাহার করছিলেন, সেই সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁদের সামনে এসে ধূমপান করতে থাকে। অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে সামনে এসে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে থাকে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন ফোটোগ্রাফির ছাত্র গুরপ্রীত ও মনিন্দর। ২১ বছরের গুরপ্রীতের সঙ্গে বচসা বাধে এই বিষয়ে। পুলিশকে দেওয়া মনিন্দরের জবানবন্দিতে জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিল। রীতিমতো অভব্য ভাষায় কথা বলার পাশাপাশি, অস্বাভাবিক আচরণও করে। ফলে গুরপ্রীত ও মনিন্দর দুজনেই পিছু হঠে আসেন। বচসা থামাতে চান। ওই এলাকা ছেড়ে চলেও যান তাঁরা।
[আরব শেখদের কাছে লক্ষ লক্ষ টাকায় বিকোচ্ছে নাবালিকারা, চক্রের পর্দাফাঁস]
তবে অভিযোগ, এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় তাঁদের পরে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় ওই ব্যক্তি। গুরপ্রীত ও মনিন্দর অসমের বাসিন্দা হলে, তাঁদের ওই ব্যক্তি মেরে ফেলত বলেও হুমকি দেয়। তাঁরা সেখান থেকে চলে গেলেও, অভিযুক্ত গাড়ি নিয়ে তাঁদের অনুসরণ করে। এইমসের কাছে গাড়ি দিয়ে যুবকদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা মারেন ওই ব্যক্তি। এর পাশাপাশি, একটি অটোরিক্সা ও একটি ট্যাক্সিতেও ধাক্কা মারে সে। তারপর সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
[হেনস্তা করছে যুবক, ব্যবস্থা চেয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুসলিম তরুণীর]
গুরুতর জখম অবস্থায় গুরপ্রীত ও মনিন্দরকে এইমসে ভর্তি করা হয়। গুরপ্রীতের মাথায় গুরুতর চোট লাগে। পায়ে আঘাত লাগে মনিন্দরের। বুধবার বিকেলে মারা যান গুরপ্রীত।মনিন্দর চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রোহিত কৃষ্ণ মহন্ত। সে ডিফেন্স কলোনির বাসিন্দা। তার বাবা দিল্লি আইআইটির অধ্যাপক বলে জানা গিয়েছে। রোহিতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে পরে জামিন মঞ্জুর হয় ।
[সোশ্যাল মিডিয়ায় মহিলাকে অশালীন মন্তব্য, ফের বিতর্কে ঋষি]
গুরপ্রীতের দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নিহতের পরিবারের দাবি, এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, হত্যার ঘটনা। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.