সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির হিংসা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করল দিল্লির সংখ্যালঘু কমিশন। রিপোর্ট ঘিরে বিতর্ক দানা বেধেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “রাজধানীর হিংসা সম্পূর্ণ একপেশে এবং পরিকল্পিত। এমনকী টানা পাঁচদিনের অশান্তিতে কয়েক হাজার মানুষ ভিটে ছাড়া হয়েছেন। তাঁরা ভিন রাজ্যে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। আর বাড়ি ফাঁকা পেয়ে লুঠ-পাট চালিয়েছে দাঙ্গাবাজরা।” এদিকে আগামী ১১ মার্চ দিল্লির হিংসা নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে বলে জানানো হয়েছে। হোলির পরদিন সংসদে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লির হিংসা নিয়ে বাজেট অধিবেশনে আলোচনার দাবিতে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা।
২২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে অশান্তির আগুন ছড়িয়েছে। টানা পাঁচদিনের অশান্তির আঁচে পুড়েছে মউজপুর, জাফরাবাদ, গোকুলপুরী, ভজনপুর, খাস খাজুরি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। হিংসার বলি হয়েছেন ৫৩ জন। এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন কয়েক শো মানুষ। এই অশান্তি থেকে রেহাই পায়নি ওই এলাকার কোনও বাসিন্দা। ইতিমধ্যে এই হিংসায় দিল্লি পুলিশ ৬৮৩টি এফআইআর করা হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র আইনে ৪৮ টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।১৯৮৩ জনকে আটক অথবা গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
#UPDATE Delhi Police: 683 FIRs have been registered so far. 48 cases are registered under the Arms Act. 1,983 people have been either arrested or detained. #DelhiViolence pic.twitter.com/z88pEYZOeq
— ANI (@ANI) March 6, 2020
সংখ্যালঘু কমিশনের তরফে চেয়ারম্যান জাফারুল ইসলাম খান এবং অন্যতম সদস্য কার্তার সিং কোছর সম্প্রতি হিংসা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপরই রিপোর্ট পেশ করেন তাঁরা। চেয়ারম্যান জাফারুল ইসলাম বলেন, “যে সমস্ত বাড়িতে হামলা হয়েছে, তার অধিকাংশটাই মুসলিমদের। এর থেকেই বোঝা যায় এই হিংসা একপেশে এবং পরিকল্পিত।” দিল্লির সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যানের কথায়, “যে ক্ষত তৈরি হয়েছে তা দিল্লি সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণ প্রলেপ দিতে পারবে না। অনেক অনেক বড় সাহায্য দরকার অসহায় মানুষগুলির জন্য।” তবে এই রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সমালোচকদের কথায়, রিপোর্টেও গলদ রয়েছে। কারণ শুধুমাত্র মুসলিমরাই নয়, অশান্তি থেকে রেহাই পাননি হিন্দুরাও। এমনকী পুলিশের উপর নেমে এসেছে আক্রমণ। প্রাণ হারিয়েছে এক পুলিশ কনস্টেবব, এক আইবি আধিকারিক-সহ বাকিরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.