সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি হিংসায় (Delhi Clash) কি মদত জুগিয়েছিল বিতর্কিত ধর্মপ্রচারক জাকির নায়েক? ফেব্রুয়ারি মাসের সেই অশান্তিতে মদতদাতাদের সঙ্গে জাকির নায়েকের (Zakir Naik) ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ক্রমশ সামনে আসছে। এমনকী, বিদেশ থেকে অর্থের জোগান দেওয়ার বিষয়টিও ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে বলেও দাবি দিল্লি পুলিশের।
দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) স্পেশাল সেল এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। তাঁদের তদন্তের রিপোর্টেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দিল্লি হিংসার অন্যতম মদতদাতা খালিদ সইফির সঙ্গে ভারতে নিষিদ্ধ ধর্মপ্রচারক জাকির নায়েকের (Zakir Naik) সরাসরি যোগাযোগ ছিল। এমনকী, মালয়েশিয়ায় গিয়ে জাকিরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন সইফি। প্রসঙ্গত, সইফি আবার উমর খালিদ (Umar Kahlid) ও তাহির হুসেনের (Tahir Hussain) বন্ধু হিসেবে পরিচিত।
তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্ট বলছে, দিল্লিতে অশান্তি ছড়াতে অর্থের যোগান এসেছে সৌদি আরব ও সিঙ্গাপুরের এক এনআরআইয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে। এমনকী, কংগ্রেসের কাউন্সিলর ইশরত জাহানের (Ishrat Jahan) অ্যাকাউন্টে গাজিয়াবাদ থেকে বেনামী টাকা ঢুকেছিল। ইশরতের মহারাষ্ট্রের আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টেও বিভিন্ন সূত্র থেকে টাকা ঢুকেছিল। যা আদপে দিল্লিতে অশান্তি (Delhi Clash) ছড়াতে ব্যবহৃত হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মার্চ মাসেই ইশরতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাজতে রয়েছে খালিদ সইফিও। তবে করোনা আবহে তাদের জেরা করা যায়নি।
তদন্তে জানা গিয়েছে, সিঙ্গাপুর (Singapore) থেকে ভারতের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে টাকা এসেছে খালিদের কাছে। সেই সংগঠন চালান উমর খালিদ ও মীরাটের এক ব্যক্তি। মহামারী আবহের জেরে তাদেরও জেরা করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে খালিদের পাসপোর্টের তথ্য থেকে এটা পরিস্কার অশান্তির জন্য অর্থ জোগার করতে সে বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াত। সেই সূত্রে জাকির নায়েকের সঙ্গেও দেখা করেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, খালিদের মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখান থেকে দিল্লি হিংসা সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে। প্রসঙ্গত. হিংসায় আর্থিক মদত দেওয়ার ক্ষেত্রে পিএফআই-এর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ, সৌদি আরব ও সিঙ্গাপুর, দু’দেশেই তাদের শাখা রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.