বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: বাংলার বঞ্চনা বরদাস্ত নয়। তৃণমূলের (TMC) পাশে দাঁড়িয়ে দিল্লিতে প্রতিবাদে প্রস্তুত হচ্ছেন রাজধানীর প্রবাসী বাঙালিররাও। সার্বিকভাবেই তৃণমূলের কর্মসূচি নিয়ে উৎসাহী দিল্লির প্রবাসী বাঙালিরা।
১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার পাওনা অর্থের দাবিতে আগামী দুদিন রাজধানীর বুকে বিরাট আন্দোলন কর্মসূচি নিয়েছে এরাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) কর্মসূচিতে যোগ দিতে বাংলা থেকে অনেকেই রাজধানীতে পা রাখতে শুরু করেছেন। বেশ কয়েকজন সাংসদ ও মন্ত্রীও চলে এসেছেন। রেলের তরফে বিশেষ ট্রেন বাতিল, এমনকী কলকাতা থেকে দিল্লিগামী একাধিক বিমানও বাতিল হয়েছে। তাতেও দমতে নারাজ শাসকদল। পাওনা টাকার দাবিতে বাসেই রাজধানী যাত্রা করেছেন বঞ্চিতরা।
তৃণমূলের এই কর্মসূচি নিয়ে দিল্লিতে বসবাসকারী বাঙালিদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে কৌতুহল। দীর্ঘদিন পরে বাংলার কোনও রাজনৈতিক দল রাজধানীতে এমন কর্মসূচি নেওয়ায় এখানকার বাঙালিরও যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। বিশেষ করে চিত্তরঞ্জন পার্ক, করোল বাগ, মযূর বিহার, কাশ্মীরি গেট, মিন্টু রোড এলাকায় বাসবাসকারী অনেক বাঙালিই মঙ্গলবার যন্তরমন্তরের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। বাংলাকে যেভাবে বঞ্চনা করা হচ্ছে তার প্রতিবাদ জানাতেই তাঁরা আসবেন বলে জানান, ময়ূরবিহার ফেস ওয়ানের বাসিন্দা রাজশেখর চট্টোপাধ্যায় ও বিভূতি সরকাররা কর্মসূত্রে দিল্লিবাসী হলেও তাঁদের মন পড়ে রয়েছে বাংলায়। তাই বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা মেনে নিতে পারছেন না তাঁরাও। মঙ্গলবার যন্তরমন্তরের কর্মসূচিতে রাজধানীর অনেক বাঙালিই যোগ দেবেন।
বাংলা থেকে আগত অতিথিদের স্বাগত জানাতে দিল্লি হেলি রোড ও উমাশঙ্কর দীক্ষিত মার্গের দু’টি বঙ্গ ভবন কার্যত নতুন করে সেজে উঠেছে। অপেক্ষায় রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি হোটেল ও অতিথি নিবাস। তবে রেলমন্ত্রক তৃণমূলের (TMC) কর্মসূচির জন্য স্পেশাল ট্রেন বরাদ্দ বাতিল করায় ক্ষুব্ধ এখানকার হোটেল ও গাড়ি মালিকরা। শেষ পর্যন্ত কতজন এসে পৌঁছতে পারবেন তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়। কিন্তু দলের তরফে ৫০টি বাস দিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়া আশায় বুক বেঁধেছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.