সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজিপুর ধসের মাত্র এক বছর টপকেছে। তার মধ্যে ময়লার ঢিপি কমা তো দূরের কথা, আরও বেড়েছে। উত্তরোত্তর তা বাড়ছে। মনে করা হচ্ছে, আর কয়েকটি বছরের মধ্যেই দিল্লির কুতুব মিনারকে ছাড়িয়ে যাবে দিল্লির ময়লার ঢিপি। ইতিমধ্যেই ঢিপির উচ্চতা ছাড়িয়েছে ৬৫ মিটার।
সরকারি সূত্রে খবর, গত বছরের যখন ধস নামে, তখন তার উচ্চতা ছিল ৬০ মিটার। বৃহস্পতিবার পূর্ব দিল্লি মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (EDMC)-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ঢিপির উচ্চতা ৬৫ মিটার ছাড়িয়েছে। কর্পোরেশনের চিফ ইঞ্জিনিয়র প্রদীপ খান্ডেলওয়াল জানিয়েছেন, ঢিপির উচ্চতা কমার পরিবর্তে বেড়েছে। এর একটাই কারণ। দিল্লিতে ময়লা দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। আর এগুলি এক জায়গায় জমা করা ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প পথ নেই। এছাড়া কর্পোরেশনে কিছু আর্থিক সমস্যা চলছে। ফলে নতুন কোনও প্রজেক্টে বিনিয়োগও করা যাচ্ছে না।
[ ফের বাড়ল জ্বালানির দাম, কপালে চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্তের ]
গত বছর ১ সেপ্টেম্বর গাজিপুরে ভয়াবহ ধস নামে। ময়লার ঢিপিতে ধস নামার ফলে একাধিক মানুষ ভেসে যায়। সামনের নর্দমায় পড়ে যায় তারা। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র পাঁচজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। দিল্লির লেফট্যানেন্ট গভর্নর অনিল বাইজাল জানান, এই ঘটনার পর ওই এলাকায় ময়লা ফেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার কয়েকদিন পর থেকে ফের ময়লা ফেলা শুরু হয়। ফলে ঢিপির উচ্চতা কমার পরিবর্তে বাড়তে থাকে।
সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের পরিবেশ বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার স্বাতী সিং সমবয়ালের অভিযোগ, প্রত্যেক মাসে এই বিষয়ে সতর্কীকরণ নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু তাও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। পূর্ব দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন তা সত্ত্বেও ৫৫ থেকে ৭০ শতাংশ ময়লা ওইখানেই পাঠায়। প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ময়লা প্রতিদিন ওই ঢিপিতে জমা হয়।
[ অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুক্তি পুলিশকর্মীর আত্মীয়দের ]
দিল্লির কুতুব মিনারের উচ্চতা ৭৩ মিটার। আর গাজিয়াবাদে ময়লার ঢিপির উচ্চতা ইতিমধ্যেই ৬৫ মিটার ছাড়িয়েছে। এমন চলতে থাকলে বছর খানেকের মধ্যে তা কুতুব মিনারকে ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু পূর্ব দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বলছে, তারা নতুন একটি প্রজেক্ট শুরু করেছে। সোনিয়া বিহারে ৮৮ একর ও গোন্দা গুজরান এলাকায় ৫০ একর জমি হাতে রয়েছে। এখানেই ভবিষ্যতে কোনও পরিকল্পনা করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.