নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে (Jahangirpuri) তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ পুলিশের অসহযোগিতা এবং বিভ্রান্তিমূলক আচরণের জন্যই যে মসজিদকে কেন্দ্র করে হনুমান জয়ন্তীতে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল, সেই মসজিদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি তৃণমূলের (TMC) প্রতিনিধিরা। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। এরপর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিপোর্ট দেবেন তারা।
এরাজ্যের বগটুই, হাঁসখালির (Hanskhali) মতো ঘটনায় যেভাবে দিল্লি থেকে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি পাঠিয়েছিল বিজেপি, অনেকটা সেই ধাঁচেই জাহাঙ্গিরপুরীতে সংসদীয় দল পাঠায় তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার দুপুরেই পৌঁছায় তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। কাকলি ঘোষ দস্তিদারের নেতৃত্বাধীন ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন শতাব্দী রায়, প্রতিমা মণ্ডল (Pratima Mandal), সাজদা আহমেদ, এবং অর্পিতা ঘোষ। পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের চারজন সাংসদ এবং একজন প্রাক্তন সাংসদ। অভিযোগ, এ হেন হাই প্রোফাইল দলকেও ঘটনাস্থলে যেতে দেয়নি দিল্লি পুলিশ।
তৃণমূলের প্রতিনিধিরা এদিন জাহাঙ্গিরপুরী পৌঁছে দেখেন যে গোটা এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। তাঁরা ঢুকতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর স্থানীয়দের সাহায্যে যে মসজিদকে সামনে মূল হিংসার ঘটনাটি ঘটেছে সেই মসজিদের একেবারে কাছে পৌঁছে যান কাকলী ঘোষ দস্তিদাররা। কিন্তু সেখানে গেলে দেখা যায় মসজিদ চত্বরেও আলাদা করে একটা ব্যারিকেড করা আছে। পুলিশের কাছে সেই ব্যারিকেড খোলার অনুমতি চাইলে পুলিশ জানায়, মসজিদে যাওয়ার রাস্তা অন্যদিকে। কিন্তু পুলিশকর্মীরা যে রাস্তা দেখিয়ে দেন, সেই রাস্তায় গিয়ে তৃণমূল প্রতিনিধিরা বুঝতে পারেন তাঁরা মন্দির থেকে আরও দূরে চলে গিয়েছেন।
এরপরই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। শেষপর্যন্ত স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন তাঁরা। হনুমান জয়ন্তীতে ঠিক কী হয়েছিল, তারপর কীভাবে বুলডোজার চালিয়ে উচ্ছেদ চালানো হচ্ছে, সবই জেনে এসেছেন তৃণমূল সাংসদরা। এবার তৃণমূল নেত্রীকে রিপোর্ট দেবেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.