সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই, দশ, একশো নয়। হাজার হাজার মানুষ দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশে যোগদানের পর এখনও একসঙ্গে ছিলেন। টানা ৩৬ ঘণ্টা অপারেশনে বুধবার সেই বিল্ডিং থেকে ২৩০০’এর বেশি মানুষকে বের করে আনল দিল্লি পুলিশ। তবে এই কাজে তাঁদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়েছে। এদের মধ্যে ছ’শোরও বেশি মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য। বাকিদের পাঠানো হল কোয়ারেন্টাইনে। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়া সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন। এই মুহূর্তে গোটা দেশে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে সবচেয়ে উদ্বেগজনক স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছেন এই নিজামুদ্দিন।
2,361 people were brought out from there (Markaz, Nizamuddin) out of which 617, who had symptoms have been taken to hospitals, others have been quarantined. I thank all those who participated in this 36 hour operation & risked their lives: Delhi Deputy CM Manish Sisodia pic.twitter.com/ZMCsmg6N6X
— ANI (@ANI) April 1, 2020
মধ্য মার্চে দেশ-বিদেশ থেকে ইসলাম সম্প্রদায়ের মানুষজন গিয়েছিলেন দিল্লিতে, নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাত ইজতেমার ধর্মীয় সম্মেলনে যোগ দিতে। লকডাউনের জেরে সেখানেই আটকে পড়েছেন বহু মানুষ। কিন্তু সংখ্যাটা যা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়ে এতটাই বেশি যে চোখ কপালে উঠছে দুঁদে পুলিশকর্তাদেরও। পাঁচশো, হাজার নয়, একেবারে ২৩৬১ জন! মঙ্গলবার থেকে টানা ৩৬ ঘণ্টার অপারেশন চালিয়ে নিজামুদ্দিনের ওই এলাকার একটি বাড়ি থেকে এতজনকেই বের করে এনেছে পুলিশ।
তল্লাশি শেষ হওয়ার পর আজ দক্ষিণ দিল্লি পুরনিগমের পক্ষ থেকে গোটা এলাকা স্যানিটাইজ করা হয়। যথাযথ সুরক্ষাবিধি মেনেই কর্মীরা সাফাইকাজ করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে এখন দেশজুড়ে ওই সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের খুঁজে বের করতে মরিয়া বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ কর্তারা।মন্ত্রকের নির্দেশ পাওয়ার পরপরই এ রাজ্যের ৭১ জনকে চিহ্নিত করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৩৯ জন বিদেশি-সহ ৫৩ জনকে হজ হাউসে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে সংশয় আরও বাড়িয়েছে দিল্লি পুলিশের তরফে প্রকাশিত একটি ভিডিও। যেখানে দেখা গিয়েছে, গত ২৩ মার্চ এই সমাবেশের উদ্যোক্তাদের ডেকে পুলিশের তরফে ওই এলাকায় খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বোঝানো হয় যে লকডাউন চলছে। তার নিয়ম অনুযায়ী, এতজন একসঙ্গে এলাকায় থাকা যাবে না। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি এঁরা কেউ। অভিযোগ, বরং পুলিশের নির্দেশ উপেক্ষা করেই একসঙ্গে ছিলেন অনেকে।
#WATCH Delhi Police release a video of its warning to senior members of Markaz, Nizamuddin to vacate Markaz & follow lockdown guidelines, on 23rd March 2020. #COVID19 pic.twitter.com/2evZR6OcmB
— ANI (@ANI) March 31, 2020
তখনও বোঝা যায়নি যে আরও কত মানুষ ঠাসাঠাসি করে রয়েছেন। আজ সকালে ২৩৬১ জনের হদিশ পেয়ে স্তম্ভিত পুলিশ। এদিকে, ২৮ মার্চ সংগঠনের অন্যতম সদস্য মৌলানা সাদকে পুলিশের নোটিস পাঠানো হয়। তারপর থেকে তার আরও কোনও খোঁজ মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এফআইআরে নাম জুড়েছে মৌলানা সাদেরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.