সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসার দায় একপ্রকার বামপন্থী ছাত্রছাত্রীদের উপরই চাপাল দিল্লি পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, পাঁচ তারিখে যে হিংসায় ঐশী ঘোষ-সহ ৩৪ জন আহত হয়েছেন, তার আগেও দু’দিন লাগাতার মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। এই হিংসায় নেতৃত্ব দিয়েছিল চারটি বামপন্থী সংগঠন। এই চার সংগঠনের ৯ সদস্যকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের ডিসিপি তথা জেএনইউ কাণ্ডে ঘটিত তদন্তকারী সিট-এর শীর্ষ আধিকারিক জয় তিরকের দাবি, আগের দুই দিনের এই বিক্ষোভের জেরেই পাঁচ জানুয়ারি সবরমতী হস্টেলে হামলা হয়। তবে, ওই হামলায় এখনও কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।
JNU violence incident: Delhi Police releases images of the suspects, caught on the CCTV camera. #Delhi pic.twitter.com/UqNZCwKFId
— ANI (@ANI) January 10, 2020
অর্থাৎ, মূল ঘটনা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই। আগের দুই দিনের ঘটনা নিয়ে রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে বিবৃতি দিল দিল্লি পুলিশ। ডিসিপি জয় তিরকে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন, হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জন অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছে দিল্লি পুলিশ। স্পর্শকাতর ইস্যু বলেই তদন্তের মাঝপথে তথ্যপ্রকাশ করা হল। এই ৯ জনের মধ্যে রয়েছেন জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের নামও। রয়েছেন শীতল কুমার, পঙ্কজ মিশ্র, দোলন সামন্ত, সুচেতা তালুকদারের মতো বামপন্থী ছাত্রনেতারা। তবে, এরা কেউই পাঁচ জানুয়ারির মূল ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। এরা ৩ ও ৪ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে যে হিংসা ছড়িয়েছিল তাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
দিল্লি পুলিশের দাবি, গত জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এসএফআই, আইসা, ডিএসও এবং এআইএসএফ অক্টোবর থেকেই রেজিস্ট্রেশনে বাধা দিচ্ছিল। কিন্তু, পড়ুয়াদের অনেকেই নাম রেজিস্টার করতে ইচ্ছুক ছিলেন। ৩ তারিখ আইসা এবং ডিএসও-র কিছু সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার রুম বন্ধ করে দেয়। ওখানকার নিরাপত্তারক্ষীদের মারধরও করা হয়। ঐশী ঘোষের নেতৃত্বেই জমায়েত হয়েছিল। চার তারিখেও সার্ভার রুমে হামলা হয়। এদিন পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে সার্ভার রুমটি পুরোপুরি নষ্ট করে দেয় কিছু পড়ুয়া। এক্ষেত্রেও অভিযুক্ত চার বামপন্থী সংগঠন। এদিন বিকেলে পেরিয়ার হস্টেলেও হামলা হয়। বেছে বেছে কিছু পড়ুয়ার ঘরে হামলা চালানো হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এদের মধ্যে ৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরা বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির সঙ্গে যুক্ত।
Dr. Joy Tirkey, DCP/Crime, Delhi Police on #JNUViolence: Three cases have been registered till now, and they are being investigated by us. pic.twitter.com/Z5UBWdZkXt
— ANI (@ANI) January 10, 2020
কিন্তু, ৫ জানুয়ারি যে সবরমতী হস্টেলে হামলা হল সেই তদন্ত কতদূর? দিল্লি পুলিশ বলছে, পাঁচ জানুয়ারি হামলা চালানো হয় সবরমতী হস্টেলে। সেখানেও বেছে বেছে কিছু পড়ুয়াকে আক্রান্ত হতে হয়। এখানেই আক্রান্ত হন ঐশী ঘোষ-সহ ৩৪ জন। কিন্তু, ওই সময় অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া এদের মুখ ঢাকা ছিল। তাই, এদের শনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে পুলিশের। তাছাড়া সিসিটিভি রেকর্ডিংও মেলেনি। কারও ফোনে ভিডিও-ও নেই। আমরা যে কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি, সবটাই ভাইরাল ভিডিও দেখে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.