সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জামিয়া কাণ্ডে চার্জশিট পেশ করল দিল্লি পুলিশ। চার্জশিটে ১৮ জনের বিরুদ্ধে দাঙ্গা, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর এবং সরকারি কর্মচারীদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে জামিয়ার কোনও পডুয়ার নাম নেই। উলটে নাম রয়েছে JNU-এর প্রাক্তন পড়ুয়া শারজিল ইমামের। তাঁর বিরুদ্ধে ওই দিনের অশান্তিতে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ রয়েছে। সেই গোটা ঘটনায় মূল অভিযুক্ত।
প্রসঙ্গত, ১৫ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও নিউ ফ্রেন্ডস কলোনিতে অশান্তি ছড়ায়। সেই ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লির শকেত আদালতে একটি চার্জশিট জমা করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। অশান্তির জেরে ৯৭ জন জখম হয়েছিলেন। এরমধ্যে ৪৭ জন পুলিশ কর্মী। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৭জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ৯জন NFC ও বাকি ৮জন জামিয়ার পড়ুয়া ছিলেন।
সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশ চার্জশিটে সিসিটিভি ফুটেজ, কল রেকর্ডস এবং শতাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানও রেখেছে। পুলিশে তদন্ত আরও তথ্য উঠে এসেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বুলেট উদ্ধার হয়। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া বুলেটটি ৩.২ এমএম পিস্তলের। অশান্তিতে জড়িত বাকিদের ছবিও পুলিশ প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে। এমনকী এই অশান্তির পিছনে PFI-এর হাত রয়েছে বলে মনে করছে দিল্লি পুলিশ। আর তাই সে বিষয় তদন্ত চলছে।
দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার একটি প্রতিনিধিদল জামিয়া মিলিয়ায় অশান্তির ঘটনায় তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমা আখতার একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি তৈরি করেছিলেন। যে কমিটি মূলত পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখে। তবে তিনি পড়ুয়াদের বিক্ষোভে ‘বহিরাগত’দের উপস্থিতির নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। তাঁর ধারণা, পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে উসকানি দিয়ে তার অভিমুখ অন্য দিকে ঘোরাতে কেউ কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.