Advertisement
Advertisement
পুলিশ

সংক্রমণের আতঙ্ক কাটিয়ে সুস্থ থাকার চেষ্টা দিল্লি পুলিশের, রকমারি পদ্ধতিতে খুঁজছে বাঁচার রসদ

যোগব্যয়াম করে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখছে দিল্লি পুলিশ।

Delhi poiice tried to be healthy wlkin in quarentine center, cracking jokes
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:April 25, 2020 12:48 pm
  • Updated:April 25, 2020 12:48 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মোকাবিলায় রাস্তায় নেমে কাজ করছেন পুলিশের। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে তাঁরাও প্রথম সারির যোদ্ধা। লকডাউনের নিয়ম বহাল রাখার পাশাপাশি একঘেয়েমি কাটাতে তাঁরা বেছে নিচ্ছেন রকমারি পন্থা। ফলে শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে মানসিক শান্তিও বজায় রাখার চেষ্টা করছে দিল্লি পুলিশ।

লকডাউনের মধ্যেও দিল্লিতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে যাওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ম সত্ত্বেও দিল্লিতে এখনও জারি জরুরী পরিষেবা। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে সর্বদাই মজুত পুলিশ কর্মীরা। লকডাউনের প্রথম পর্ব হোক বা দ্বিতীয় একটানা কাজ করে চলেছেন তাঁরা। অনেকে আবার ভিন রাজ্যে থেকে দিল্লিত এসে কাজ করায় ফিরতে পারেননি বাড়িতে, যানেনা পরিবারের লোকেরা কেমন রয়েছেন। তাঁদের কাছে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হল ফোন। কিন্তু এমতাবস্থায় ভেঙে পড়লে চলবে না। স্থির থেকে পরিস্থিতির মোকাবিলা করে যেতে হবে। তাই নিজেদের শারীরিক সুস্থতা ও বিনোদনের অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন তাঁরা। শিফট অনুযায়ী কোয়ারেন্টাইনে টহল দেওয়ার পাশাপাশি কেউ ভজন শুনে মনকে ভাল রাখছেন কেউ বা পছন্দ করছেন গ্রামের স্থানীয় ভাষার গান শুনতে। কেউ বা আবার দূরত্ব বজায় রেখে মজার মজার জোকস শুনিয়ে হাসিয়ে সহকর্মীদের মজা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। দেশ জোড়া আতঙ্কের পরিবেশে একটু ভাল থাকার চেষ্টা, একটু মজা করে থাকলেই মারণ ভাইরাসে বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস বাড়বে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন:একরাশ অন্ধকারেও আলো দেখাচ্ছে মুম্বইয়ের ধারাভি, চমকপ্রদ হারে কমেছে করোনা সংক্রমণ]

দিল্লির চাঁদনি মহলে প্রায় ৮০ জন পুলিশকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যএ ৮জন পুলিশকর্মীকে ২০ এপ্রিল রাম মনোহর লোহিয়া (RML) হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারা কেউই জানেন না কীভাবে তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে পরিস্থিতি যাই আসুক না কেন ভয় পাওয়া যাবে না। ফলে সকালে কেউ টহলদারির সময় হেঁটে বেরাচ্ছেন ফাঁকা রাস্তায়। কেউ বা অফিস থেকে ফিরে বিকেলে রাস্তায় হাঁটতে বের হচ্ছেন। কেউ বা হাঁটছেন কোয়ারেন্টাইনের ভিতরেই। এভাবেই শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার চেষ্টা করছেন তাঁরা। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, “পরিবারের সকলের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয়। বাড়ি থেকে দূরে থাকায় তাঁরা আমায় নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন। আমি চেষ্টা করি সবসময় ইতিবাচকভাবে কথা বলার। তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করছি যে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ভগবানের আর্শীবাদে আমরা সকলে এই পরিস্থিতিতে জয় লাভ করবে।”

[আরও পড়ুন:‘সবার মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করছি’, রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট প্রধানমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement