Advertisement
Advertisement
Murder

রিহ্যাব থেকে বাড়ি ফিরেই হত্যালীলা! বাবা-মা-বোন-ঠাকুমাকে কুপিয়ে মারল যুবক

অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Delhi Men Allegedly Killed His Entire Family after back from Rehab Centre | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:November 23, 2022 10:55 am
  • Updated:November 23, 2022 11:01 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। মাদকের (Drugs) নেশা ছাড়াতে পুনর্বাসন কেন্দ্রে ছিল এক যুবক। বাড়ি ফেরার পরদিনই মাদকাশক্ত অবস্থায় গোটা পরিবারকে নির্মমতার সঙ্গে খুন করল সে। বাড়িতেই বাবা, মা, বোন ও ঠাকুমাকে কুপিয়ে ও গলার নলি কেটে হত্যা করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর পালানোর চেষ্টা করলেও আত্মীয়ারা যুবককে ধরে ফেলে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দেহগুলিকে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ২৫-এর অভিযুক্ত যুবকের নাম কেশব। মাদকের নেশা থেকে মুক্তি পেতে পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল তাকে। সোমবারই রিহ্যাব সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরে। এরপর মঙ্গলবার রাতে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে তুমুল ঝামেলা বাধে তার। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদক দ্রব্য কেনার জন্য অর্থ চেয়েছিল যুবক। যা দিতে অস্বীকার করে বাড়ির লোকেরা। এর পরেই একে একে বাবা, মা, বোন ও ঠাকুমাকে ধারালো কিছু দিয়ে কুপিয়ে ও গলার নলি কেটে হত্যা করে সে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সেনায় চার মাস চাকরির পর যুবক জানলেন নিয়োগই হয়নি! কোথায় গেল তাঁর ১৬ লক্ষ টাকা?]

পুলিশ জানিয়েছে, দিওয়ালির সময় চাকরি খোয়া গিয়েছিল যুবকের। খুনের সময় নেশাগ্রস্ত ছিল সে। ওই অবস্থায় ঠাকুমা দিওয়ানা দেবী (৭৫), বাবা দিনেশ (৫০), মা দর্শনা ও বোন উর্বশীকে (১৮) নৃশংস ভাবে হত্যা করে সে। দিনেশ ও দর্শনার দেহ পুলিশ উদ্ধার করে বাথরুম থেকে। অন্য একটি ঘরে ছিল দিওয়ানা দেবী উর্বশীর দেহ। খুনের পর পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক। যদিও আত্মীয়-প্রতিবেশীরা যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। 

[আরও পড়ুন: পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে ‘সেরা ব্যক্তি’কে প্রয়োজন, বলল সুপ্রিম কোর্ট]

খুনের প্রকৃত কারণ জানতে যুবককে গ্রেপ্তার করে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নেশা করতে টাকা চেয়ে না পাওয়াতেই কি গোটা পরিবারকে খুনে করেছিল সে, নাকি এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশের তদন্তকারী দলটি। মৃতদেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement