Advertisement
Advertisement

আত্মহত্যা করতে চায়নি পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্যরা, বুরারির ঘটনায় নয়া মোড়

পারিবারিক বন্ধু ও আত্মীয়দের “সাইকোলজিক্যাল অটোপসি” করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

Delhi mass suicide: Teenagers protest, forced on gallows
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 6, 2018 3:27 pm
  • Updated:July 6, 2018 3:27 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুবারির ঘটনায় নতুন তথ্য পেল পুলিশ। ফের তাদের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, বুরারিতে যে ১১ জন আত্মহত্যা করেছে, তাদের মধ্যে দু’জন আত্মহত্যায় রাজি ছিল না। তাদের জোর করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে।

এই দু’জন হল বাড়ির সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্য, ১৫ বছরের ধ্রুব ও শিবম। পুলিশ এও জানিয়েছে, বাড়ি থেকে যে নোট উদ্ধার হয়েছে সেখানে বেশিরভাগ হাতের লেখাই প্রিয়াঙ্কার। নোটগুলি ‘বধ তপস্যা’ ঘরে পাওয়া গিয়েছে। সেখানে একটি শাখা-প্রশাখা সহ একটি বটগাছ বানানো ছিল। নোটে বলা হয়েছে এটি ভগবানকে খুশি করে। পুলিশের এক অফিসার জানিয়েছেন, ললিত তাঁর বাবার আত্মার আরাধনা করতেন। তবে নিজে থেকে নয়। কারওর অনুপ্রেরণায় তিনি এই কাজ করতেন। কোনও এক মানসিক রোগে ভুগছিলেন তিনি। এনিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

বুরারির ঘটনা আত্মহত্যাই, রহস্যের জট কাটছে সিসিটিভি ফুটেজে ]

পুলিশের অনুমান, পরিবারের ১০ জনকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন ললিত। তিনি বিশ্বাস করতেন, তাঁর মৃত বাবা তাঁকে আধ্যাত্মিক পরিত্রাণের জন্য বলতেন। তাই ১১ বছর ধরে ১১টি ডায়েরি লেখেন। সেখানে কিছু তাঁর লেখা, কিছু প্রিয়াঙ্কার। ১১টি ডায়েরির মধ্যে চূড়ান্তটিতে শেষ বাক্য লেখা হয়েছে, “এক কাপ জল রেখো, যখন এর রং বদলাবে, আমি তোমাদের বাঁচাতে আসব। সব ক্রিয়ার পর তোমরা আবার একে অপরের সঙ্গে মিলিত হবে।”

বুরারি কাণ্ডের ছায়া এবার মহারাষ্ট্রে, ফিনাইল খেল গোটা পরিবার ]

তদন্তকারীদের অনুমান,  ভাটিয়া পরিবার “শেয়ারড সাইকোসিস ডিসঅর্ডার” নামে এক বিরল মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিল। ঘনিষ্ঠভাবে মানসিক যোগ থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে এমন সমস্যা দেখা যায়। ছোঁয়াচে রোগের মতো এই মনোবিকার আক্রান্ত মানুষ থেকে তাঁর ঘনিষ্ঠদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্তদের মনে-মনে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ। সম্ভবত, এতেই আক্রান্ত ছিলেন ভাটিয়া পরিবারের ওই ১১ সদস্য। তদন্তে আপাতত এই অনুমানে পৌঁছেছে পুলিশ।

ঘটনার তদন্ত করার সময় ওই ১১ জনের আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। প্রত্যেককে “সাইকোলজিক্যাল অটোপসি” করা হবে। এই প্রক্রিয়া থেকে বাদ যাবে না পরিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও। এনিয়ে বিদ্যাসাগর ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। ইতিমধ্যে দিল্লি পুলিশের একটি দল রাজস্থানের উদয়পুরে গিয়েছে। ললিতের স্ত্রীয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবে তারা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement