সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে, ততই বুরারি কাণ্ডে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা নিশ্চিতভাবেই গণ-আত্মহত্যার দিকে ইঙ্গিত করছে। মৃত ললিত ভাটিয়ার ডায়েরি বলছে, ওই বাড়িতে আটকে পড়া তাঁর বাবা ও চার আত্মার মুক্তি নিশ্চিত করতেই ‘বট তপস্যা’র ব্যবস্থা করেছিলেন তাঁরা। তবুও বহু প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। তাই মৃত ১১ জনের অন্যতম প্রিয়াঙ্কার বাগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত কয়েকজন আত্মীয়ের ‘সাইকোলজিক্যাল অটোপ্সি’ করছে পুলিশ। এ জন্য বিদ্যাসাগর ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেল্থ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেস-এর বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, গীতা মা নামে এক তান্ত্রিককে আটক করে জেরা করছে পুলিশ।
[পোস্টার দেখে ম্যাসাজ পার্লারের ফাঁদে ভিনরাজ্যের পাঁচ যুবক, সর্বস্ব লুট]
উত্তর দিল্লির বুরারিতে সন্তনগরের ভাটিয়া পরিবারের গণ আত্মহত্যার ঘটনায় নতুন তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ। পরিবারের ছোট ছেলে ললিত ভাটিয়া ডায়েরি লিখতেন। ওই ডায়েরি থেকে জানা গিয়েছে, ভাটিয়া পরিবারের মৃত পূর্বপুরুষদের আত্মা নাকি বাড়িতে ‘আটকে’ পড়েছিল। সঙ্গে আরও চার বিদেহী আত্মা। তাদের মুক্তি দিতে নাকি ‘বট তপস্যা’ (সাতদিন ধরে বট গাছের পুজো) করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রয়াত গোকুলদাস। ললিতের ডায়েরি অনুযায়ী একমাত্র এই পথেই মুক্তি পাবে পরিবারের মৃত সজ্জন সিং, হীরা, দয়ানন্দ এবং গঙ্গা দেবীর আত্মা। ডায়েরিতে যে চার জনের নামের উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের পরিচয় জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
২০১৫ সালের ৯ জুলাই ললিতের ডায়েরিতে প্রথমবারের জন্যে বট তপস্যার উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানে গোকুলদাসের জবানিতে লেখা ছিল, ‘আমার সঙ্গে আরও চার আত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে।’ নানা সমস্যা সত্ত্বেও পরিবার একই ছাদের তলায় থাকাতে তিনি খুব খুশি। পরিবার হরিদ্বারে গিয়ে পুজো করে তাঁর মুক্তির কথা ভেবেছিল। কিন্তু তার বদলে গোকুলদাস নাকি ‘বট তপস্যা’র নির্দেশ দেন। তাতেই নাকি সকলের আত্মা মুক্তি পাবে। আরও একটি নোটে ললিত লিখেছিলেন, নিজের বাড়ির পর এই বট তপস্যা তিনি তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও করতে চান। একমাত্র তাহলেই তাঁদের আর্থিক সমস্যা মিটবে। এরই মধ্যে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। যেখানে গীতা মা নামে ওই তান্ত্রিক জনিয়েছে, শনিবার তার ভাটিয়া পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। গীতার বাবা ভাটিয়া পরিবারের বাড়ি বানানোর ঠিকা নিয়েছিলেন।
ভিডিওতে গীতা জানিয়েছে, ওই পরিবারের সঙ্গে তার আগে কখনও দেখা হয়নি। কিন্তু বাবার সূত্রে ভাটিয়াদের বিষয়ে সে জানত। কোনওভাবে গীতার সম্পর্কে খবর পেয়ে শনিবার তাকে দেখা করতে বলেছিল ভাটিয়া পরিবার। গণ আত্মহত্যার সঙ্গে তার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, পুলিশ খতিয়ে দেখছে।কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে, ১৭ জুন পরিবারের মেয়ে প্রিয়াঙ্কার বাগদান অনুষ্ঠান উপলক্ষে বহু আত্মীয়-বন্ধুর সমাগম হয়েছিল। তাঁরা কেন কিছুই টের পেলেন না? এর মধ্যে প্রায় ১৩ জন আত্মীয় দিন সাতেক ছিলেন। তাঁরা চলে যান ২৩ জুন। তার এক সপ্তাহ পরেই চরম ঘটনাটি ঘটে।
[বিকিনি পরে কটাক্ষের শিকার সুহানা, অর্ধনগ্ন হয়ে জবাব পুনমের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.