সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্পত্তির লোভেই বাবা, মা ও দিদিকে খুন করেন ২০ বছরের তরুণ। দিল্লিতে একই পরিবারের তিনজনের হত্যার নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর কাহিনি সামনে এল। যদিও তদন্তে নেমে শুরুতে ধন্দে পড়ে পুলিশ। বুধবার সকালে অভিযুক্ত পুলিশকে জানান, প্রাতর্ভ্রমণ সেরে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন ঘরের মেঝেতে বাবা-মা ও দিদির রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। যদিও বৃহস্পতিবার তদন্তকারীরা জানালেন, ছক কষেই বাবা-মায়ের বিবাহবার্ষিকীর দিনে গোটা পরিবারকে খুন করেছেন ওই তরুণ।
গতকালই পুলিশ জানায়, ঘটনাটি দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাইয়ের। নিহতরা হলেন ৫৩ বছরের রাজেশ, তাঁর স্ত্রী ৪৭ বছরের কোমল এবং তাঁদের ২৩ বছরের মেয়ে কবিতা। বাবা, মা ও দিদিকে খুনে অভিযুক্ত ২০ বছরের অর্জুন। তদন্তকারীরা জানান, পরিবারের কারও সঙ্গে বনিবনা ছিল না যুবকের। বাড়িতে তাঁকে নিয়ে গোলমাল লেগেই থাকত। ছেলের প্রতি বিতশ্রদ্ধ ছিলেন বাবা। কথা কাটাকাটি লেগে থাকত। সম্প্রতি সম্পত্তির ভাগ নিয়েও ছেলের সঙ্গে একপ্রস্ত বচসা হয় বাবা-মায়ের। এর পরেই হত্যার ছক কষেন অর্জুন।
যদিও বুধবার পুলিশকে ঘোল খাওয়াতে ‘মিথ্যে’ বয়ান দেন অর্জুন। তিনি জানান, ভোর ৫টা নাগাদ প্রাতর্ভ্রমণে বের হন। বাড়ি ফিরে দেখেন, বাবা, মা এবং বোন রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন তিনি। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। এর পর পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
যদিও অর্জুনের বয়ানে অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন তদন্তকারীরা। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ভেঙে পড়েন তরুণ। এর পর নিজেই জানান, মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না। অর্জুন সন্দেহ করেন, হয়তো দিদিকে সব সম্পত্তি লিখে দেবেন ওঁরা। সেই রাগেই মা-বাবার বিবাহবার্ষিকীর দিনে সকলকে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.