সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমেই বিষাক্ত হয়ে উঠছে দিল্লির (Delhi) বাতাস। এহেন পরিস্থিতিতে সমস্ত প্রাথমিক স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লি সরকার। সেই সঙ্গে ৫০ শতাংশ সরকারি কর্মীকে বাড়িতে বসে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হল। বেসরকারি অফিসগুলিকেও বলা হয়েছে যেন অর্ধেক কর্মীরা বাড়ি থেকেই কাজ করেন। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে (Bhagwant Mann) বিঁধেছিলেন উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। তার উত্তরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বলেন, এই সময়ে রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
শীতের শুরুতে ফসল পুড়িয়ে দেওয়া ও তার জেরে দিল্লির বাতাসের গুণমান খারাপ হওয়া- প্রতি বছরই এহেন ঘটনা ঘটে থাকে। এই ঘটনা ঘিরে তীব্র রাজনীতি শুরু হয়েছে দিল্লি ও পাঞ্জাবে। শুক্রবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে চিঠি লেখেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বলা হয়, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাঞ্জাবে ফসল পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। কারণ এই কাজের ফলে দিল্লির বাতাস অত্যন্ত দূষিত হয়ে পড়ছে। তার ফলে দিল্লির সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ও বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।” দিল্লির অবস্থাকে ‘গ্যাস চেম্বার’ বলে অভিহিত করেছেন সাক্সেনা। তাঁর মতে, নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া সত্বেও পাঞ্জাবে ফসল পোড়ানোর ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। কাজ না করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছেন মান, এই অভিযোগও আনেন সাক্সেনা।
পালটা জবাব দিয়ে চিঠি লেখেন ভগবন্ত মান। দিল্লির উপরাজ্যপাল নিজেই চিঠি লিখে রাজনীতি করছেন, এমনই দাবি করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচিত সরকারের কাজের বিরোধিতা করে আসলে রাজনীতি করছেন, সেই অভিযোগ এনেছেন তিনি। বায়ুদূষণের মতো গুরুতর সমস্যা নিয়ে রাজনীতি করা একেবারেই উচিত নয় বলেই দাবি করেছেন মান। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন কেজরিও। তিনি বলেছেন, ফসল পোড়ানো শুধুমাত্র পাঞ্জাবের সমস্যা নয়। গোটা উত্তর ভারতই এই সমস্যার মধ্যে পড়ছে। এর সমাধান করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
টানা দু’দিন দিল্লির বায়ুর গুণমানকে বিপজ্জনক আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তারপরেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল নির্দেশ দিয়েছেন, শনিবার থেকেই সমস্ত প্রাথমিক স্কুল বন্ধ করে দিতে হবে। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা যেন ক্লাসরুমের বাইরে না বেরয়, তার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ৫০ শতাংশ সরকারি কর্মচারীকে ঘরে বসেই কাজ করতে বলা হয়েছে। বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও অনুরোধ জানানো হয়েছে, কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজ করতে সুযোগ দেওয়া হোক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.