সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশের অনুমতির তোয়াক্কা না করেই দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমান্ত পার করছেন শয়ে শয়ে মানুষ। তাদের বাধা দিতে গিয়েই বিপত্তি বাড়ল পুলিশের। প্রথম বচসা পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন স্থানীয়-সহ পরিযায়ী শ্রমিকেরা। চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি শুরু হয় এলাকা জুড়ে।
বুধবার সকাল ৯টা। লকডাউনের নিয়ম বহাল রাখতে প্রতিদিনের মতই রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে গুরুগ্রাম পুলিশ। হঠাৎই এক আধিকারিকের নজরে পড়ে দিল্লির পালম বিহার (Palam Vihar ) অঞ্চলের কাছে শয়ে শয়ে মানুষ এগিয়ে চলেছেন দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমান্তের দিকে। লকডাউনের মাঝে এভাবে রুটমার্চ করে নিয়মভঙ্গ করতে নিষেধ করায় গুরুগ্রামের পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে স্থানীয়-সহ পরিযায়ী শ্রমিকদের। জানা যায়, রুটমার্চে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা দিল্লির সালাহপুর খেদা (Salahpur Kheda) অঞ্চলের বাসিন্দা। দীর্ঘ লকডাউনে হয়রান তারা। তাই হরিয়ানার সমস্ত শিল্পতালুকগুলি ও ব্যবসা অবিলম্বে খুলে দেওয়ার দাবি জানানতে এই রংটমার্চে অংশ নিয়েছেন। গুরুগ্রামের পুলিশ আধিকারিকদের হাজারো বারণ সত্ত্বেও স্থানীয়রা কথা শুনতে নারাজ হওয়ায় তাঁদের আটকাতে উদ্যত হয় পুলিশ। এরপরেই পুলিশের সঙ্গে ক্ষুব্ধ জনতার হাতাহাতি শুরু হয়, পরে পুলিশকে কর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। দিল্লির সালাহপুর খেদা অঞ্চলের বাসিন্দাদের সঙ্গে রুটমার্চে অংশ নেয় দিল্লির পরিযায়ী শ্রমিকেরাও। পেটের জ্বালায় দীর্ঘদিন দিল্লিতে আটকে থেকে ধৈর্যের বাধ ভেঙেছে শ্রমিকদের। তাই মারমুখী হয়ে উঠেছেন তাঁরাও। বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠান হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারা গিয়ে মাইকিং করে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বন্ধ করে দেওয়া হয় দিল্লি সীমান্ত।
অর্থ উপার্জনের জন্য স্বজনদের থেকে দূরে থেকে লকডাউনের ভয়ঙ্কর প্রভাব সামনা-সামনি ভোগ করছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। অর্থনীতি ও অন্ধকার ভবিষ্যতের দ্বৈত চাপে তাদের অসহায়তা বাড়ছে দ্রুত। এমতাবস্থায় অনাহারে মৃত্যুর থেকে অর্থ উপার্জন করাতেই আগ্রহ প্রকাশ করছেন। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের ভয় ক্রমেই ফিকে হয়েছে তাদের মনে। তাই বার বার শিল্পতালুক খোলার দাবিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.