প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র দু’মাসের ব্যবধান। পড়াশোনার চাপে ফের আত্মঘাতী হলেন দিল্লি আইআইটির (Delhi IIT) এক পড়ুয়া। শুক্রবার বিকেলে হস্টেলের ঘর থেকে বি.টেকের ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই পড়ুয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত ছাত্রের ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পড়াশোনার চাপেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই পড়ুয়া। কারণ বেশ কয়েকটি বিষয়ে পাশ করতে পারেননি তিনি।
মৃত পড়ুয়ার নাম অনিল কুমার। ২১ বছর বয়সি ওই ছাত্র ২০১৯ সালে আইআইটি দিল্লিতে ভরতি হন। অঙ্ক ও কম্পিউটিং নিয়ে বি.টেক পড়ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের জুন মাসে তাঁর পড়াশোনা শেষ হয়। কিন্তু বেশ কয়েকটি বিষয়ে পাশ করতে পারেননি অনিল। আইআইটি কর্তৃপক্ষ তাঁকে ছয়মাসের সময়সীমা বেঁধে দেয় এই বিষয়গুলিতে পাশ করার জন্য। কিন্তু সেই সময়সীমা ফুরনোর আগেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন অনিল।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেল ৬টা নাগাদ কিষাণগড় থানায় ফোন করেন হস্টেল কর্তৃপক্ষ। অনিলের ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। ফলে বাধ্য হয়েই দরজা ভাঙে পুলিশ। তখনই ঘরের ভিতর থেকে অনিলের ঝুলন্ত দেহ মেলে। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আপাতত মৃতদেহের ময়নাতদন্ত-সহ অন্যান্য তদন্ত প্রক্রিয়া চালাচ্ছে পুলিশ। সুইসাইড নোট না পেলেও পুলিশের অনুমান, পড়াশোনার চাপেই আত্মহত্যা করেছেন অনিল কুমার।
প্রসঙ্গত, মাত্র দু’মাস আগেই একইভাবে আত্মঘাতী হয়েছিলেন দিল্লি আইআইটির আরও এক পড়ুয়া। আয়ুষ আশনা নামে উত্তরপ্রদেশের এক ছাত্র চলতি বছরেই দিল্লি আইআইটি থেকে বি-টেক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। গত ৮ জুলাই গভীর রাতে হস্টেলের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। তাঁর ঘর থেকেও কোনও সুইসাইড নোটের হদিশ পায়নি পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.