সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কদিন আগে দেশের সর্বকালীন সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়েছিল দিল্লি। পারদ চড়েছিল ৫২.৩ ডিগ্রিতে। পরবর্তীকালে নাগপুর অবশ্য সেই রেকর্ডও ভেঙে দেয়। রাজধানীর দূষণের দিকে তাকিয়ে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, অদূর ভবিষ্যতে নাম্বার ওয়ান হবে দিল্লিই। এই পরিস্থিতিতে নির্বিচারে গাছ কাটা নিয়ে সতর্ক করল দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)। আদালতের বয়ান, নতুন প্রজন্ম গাছকাটা বন্ধ না করলে অচিরেই মরুভূমিতে পরিণত হবে রাজধানী।
আগেও রাজধানীতে অরণ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছিল ‘ইন্টারনাল ডিপার্টমেন্টাল কমিটি’। যদিও পরিকাঠামোর অভাবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নাজমি ওয়াজিরির নেতৃত্বাধিন ওই কমিটি ঠিক মতো কাজ করতে পারেনি। শুনানিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অফিস, কর্মী, যাতায়াতের সুবন্দোবস্ত করতে না পারায় ‘ইন্টারনাল ডিপার্টমেন্টাল কমিটি কাজ করতে পারেননি। আদালতের তরফে সমস্ত বিষয়ে ১৫ জুনের মধ্যে ঢেলে সাজাতে বলা হয়েছে প্রশাসনকে। মুখ্য বনসংরক্ষক জানিয়েছেন, প্রয়োজন মতো সাহায্য় করা হবে কমিটিকে। দিল্লির দূষণ সংক্রান্ত এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ জুলাই।
এদিকে সবুজধ্বংস নিয়ে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। গোটা দেশে যখন গ্রীষ্মের দাবদাহে প্রায় শত খানেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ওড়িশা,বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অথচ সেই যোগীরাজ্যেই কাঁওয়ার যাত্রার জন্য ৩৩ হাজারেরও বেশি গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গাজিয়াবাদ, মিরাট, মুজফ্ফরনগরের উপরে ১১১ কিলোমিটারের ওই যাত্রাপথে কেটে ফেলা হবে গাছ। এই বিষয়ে আদালতে মামলা উঠলেও, আগামী ৮ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি হলেও ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত দফতর এক লক্ষ ১০ হাজার গাছ কেটে ফেলার অনুমোদন দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.