সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভগবদগীতার (Bhagwat Geeta) মতো ধর্মগ্রন্থের কোনও কপিরাইট নেই। কিন্তু তার উপর ভিত্তি করে তৈরি কোনওকিছুর যাতে সহজে নকল বা জাল করা না যায়, তা নিশ্চিত করতে বড়-সড় ঘোষণা করল দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)।
আদালতের নির্দেশানুসারে, ইসকন প্রতিষ্ঠাতা শ্রীল প্রভুপাদের তৈরি ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্টের বই-পত্র বা এই জাতীয় কোনও কিছুর যথেচ্ছ ব্যবহার করা যাবে না। ধর্মগ্রন্থগুলির উপর কপিরাইট না থাকলেও, তার উপর ভিত্তি করে যা কিছু তৈরি হয়েছে যেমন রামানন্দ সাগরের ‘রামায়ণ’ কিংবা বি আর চোপড়ার ‘মহাভারত–এগুলির জাল বা নকল রুখতে কপিরাইট ন্যস্ত হবে। ধর্মগ্রন্থের যে কোনও অংশ, যা জানায়, শেখায় কিংবা কিছু ব্যাখ্যা করে–কোনওভাবেই অন্য কোথাও, যেমন খুশি ব্যবহার করা যাবে না। তা সে ছাপা মাধ্যমেই হোক বা অডিও-ভিজুয়াল মাধ্যম, বা ওয়েবসাইট-মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ওয়েবলিঙ্ক, ইনস্টাগ্রাম-ফেসবুক পোস্ট বা সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কোনও মাধ্যম। নকল বা জাল হওয়া রুখতে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি প্রতিভা এম সিং।
শুধু কপিরাইট চাপানোই নয়, আদালত এদিন গুগল এবং মেটাকে এ নির্দেশও দিয়েছে যে, তাদের প্ল্যাটফর্মে ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত যে সমস্ত ‘কনটেন্ট’ রয়েছে, তা অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে, লিঙ্ক থাকলে তা ব্লক করতে হবে। প্রসঙ্গত, ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্টের যুক্তি ছিল যে, ধর্মগ্রন্থের উপর না থাকলেও আধ্যাত্মিক গুরু অভয় চরণরাবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপদের যা যা কাজ রয়েছে (একাধিক ধর্মগ্রন্থের বিষয়বস্তু তিনি সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করেছিলেন, যাতে তা সাধারণের বোধগম্য হয়), তার উপর কপিরাইট প্রযোজ্য। ফলে কোনওভাবেই, কোনও মাধ্যমেই তা জাল বা নকল করা যাবে না। যখন-তখন, যে কোনওভাবে ব্যবহার করাও যাবে না। যেভাবে কপিরাইট লঙ্ঘন করে বই জালিয়াতি শুরু হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.