সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক মাসের মজুরি বকেয়া পড়ে থাকায় ফ্যাশন ডিজাইনার মালকিনকে খুনের পরিকল্পনা নিয়েছিল দর্জি। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। মূল অভিসন্ধি ছিল মালকিনকে খুনের পর ওই বাড়ি থেকেই বহুমূল্য সামগ্রী চুরি করে পিটটান দেওয়া। তবে কার্যক্ষেত্রে তেমনটা আর ঘটল না। মালকিন খুন হলেও তা দেখে ফেললেন তাঁর পরিচারক। ধরা পড়ার ভয়ে পরিচারককেও খুন করল মালকিনের একদা বিশ্বস্ত দর্জি। তারপর জোড়া অপরাধের ধাক্কা সামলাতে না পেরে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করল মূল অভিযুক্ত ও তার দুই সহযোগী। বৃহস্পতিবার ভোর তিনটে নাগাদ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী বসন্তকুঞ্জ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, বছর তিপান্নর ফ্যাশন ডিজাইনারের নাম মালা লাখানি। তাঁকে খুনের পর বছর পঞ্চাশের পরিচারককেও মারে অভিযুক্তরা। তারপর জোড়া খুনের চাপ সহ্য করতে না পেরে থানায় আত্মসমপর্ণ করেছে। এরপরই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাহুল আনোয়ার-সহ রেহমত ও ওয়াসিমকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সকালেই শ্রীমতি লাখানির বসন্তুকুঞ্জের বাড়ি থেকে দেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাজধানীর গ্রিন পার্কেই রয়েছে মৃত মালা লাখানির বুটিক। ড্রেস ডিজাইনার হিসেবে বেশ খ্যাতিও রয়েছে ওই মহিলার। বুধবার রাত দশটা নাগাদ নিজের বাড়িতেই খুন হন মালা। মূল অভিযুক্ত রাহুল আনোয়ার তাঁর বুটিকের দর্জি। বসন্তকুঞ্জের বাড়িতে থাকা পোশাকের কারখানাতেই সে কাজ করত। বেশ কয়েক মাস ধরে তার বেতন বকেয়া ছিল। বার বার চেয়েও সেই টাকা পায়নি আনোয়ার। এরপরই মালকিন মালা লাখানিকে খুনের অভিসন্ধি আঁটে সে। ভেবেছিল খুনের পর ওই বাড়ির বহুমূল্য সামগ্রী নিয়ে পালাবে। তবে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। মালকিনের খুন দেখে ফেলে তাঁর বিশ্বস্ত পরিচারক। বিপদ এড়াতে তাকেও খুন করে অভিযুক্তরা। এদিকে পেশাদার খুনি না হওয়ায় দুটি অপরাধের পর তিনজনই বেশ ভয়ে পেয়ে যায়। রাত তিনটে নাগাদ স্থানীয় থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। এই ঘটনায় রাজধানীতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.