সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোগীর চোট লেগেছিল মাথা আর মুখমণ্ডলে। ডাক্তার অপারেশন করলেন পায়ে। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন গাফিলতির কারণে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বিজেন্দ্র ত্যাগী। হাঁটার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। পা কার্যত পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। নজিরবিহীন এই ঘটনা ঘটেছে দিল্লির সুশ্রুত ট্রমা সেন্টারে। গত বৃহস্পতিবার সেখানে মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাত নিয়ে ভরতি হন বিজেন্দ্র। সেখানে তাঁকে চিকিৎসার নাম করে অজ্ঞান করে দেন অ্যানাস্থেশিস্ট। জ্ঞান ফেরার পর রোগী দেখতে পান তাঁর ডান পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা রয়েছে। পরে বাড়ির লোকেরা রোগীকে দেখতে এসে চমকে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সার্জারি প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তারা জানায়, বিজেন্দ্রর পায়ে অপারেশন করে লোহার পিন ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর অপারেশন সফল হয়েছে। দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন বলে আশ্বাসও দেওয়া হয়।
[দেশের প্রধান বিচারপতিকে ইমপিচ করার প্রস্তাব খারিজ উপ রাষ্ট্রপতির]
এরপরই বিজেন্দ্রর পুত্র অঙ্কিত ত্যাগী হাসপাতালের উচ্চপদস্থ কর্তাদের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে জানতে পারে, বিজেন্দ্রর পায়ে ড্রিল মেশিন দিয়ে ছোট একটা গর্ত করে একটি পিন প্রতিস্থাপন করেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। ওই চিকিৎসক পায়ের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হওয়া অন্য রোগীর অপারেশন করতে গিয়ে ভুল করে বিজেন্দ্রর কেবিনে ঢুকে পড়েন। তাতেই এই কেলেঙ্কারি হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেন্দ্রর পরিবারের লোকেরা হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে অভিযুক্ত চিকিৎসককে দ্রুত কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে আর কোনও অপারেশন করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল ও অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করার কথা জানিয়েছেন অঙ্কিত। দু’বছর আগে রাজধানীর ফর্টিস হাসপাতালেও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় এক যুবকের ডান পায়ের বদলে বাঁ পায়ে অপারেশন করেছিলেন এক চিকিৎসক।
[ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যার চেষ্টা, স্কুল থেকে উদ্ধার শিশুর অচৈতন্য দেহ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.