ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমের টান। পরিবারকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বছর পঁচিশের যুবতী। কিন্তু তার মূল্য যে তাঁকে এভাবে দিতে হবে তা হয়তো তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। ঘরের আলমারি থেকে উদ্ধার পচাগলা দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই যুবতীকে খুন করেছে তাঁর লিভ-ইন পার্টনারই। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির গোকুলপুরীতে।
ভালবাসাকে কোনও সম্পর্কের বেড়াজালে বেধে রাখা যায় না। এই যুবতী প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন তেমনটাই। আর সেকারণেই হয়তো বাবা-মায়ের আপত্তি অগ্রাহ্য করে বিবাহিত প্রেমিকের হাত ধরে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবের ফারাক যে বিস্তর! প্রেমিক কথা দিয়েছিল শীঘ্রই স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে ওই ওই যুবতীকেই বিয়ে করবে সে। সেই ভরসাতেই তাঁর হাত ধরে ঘর ছাড়েন প্রেমিকা। একসঙ্গে থাকতে শুরু করার পরই ভোল বদলায় ওই ব্যক্তি। বারবার বলা সত্ত্বেও প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চায়নি সে। এমনকী এ নিয়ে প্রায় নিয়মিত ঝগড়া শুরু হয় দুই লিভ ইন সঙ্গীর মধ্যে।
বৃহস্পতিবার প্রেমিকটি পুলিশকে ফোন করে জানায় তাঁর ঘরের আমমারি থেকে পঁচা গন্ধ বেরোচ্ছে। পুলিশ এসে আলমারি খুলতেই বেরিয়ে আসে যুবতীর পঁচা-গলা দেহ। মৃতদেহের যা অবস্থা তা দেখে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে কয়েকদিন আগেই মেরে আলমারিতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল দেহ। স্বাভাবিকভাবেই প্রথম সন্দেহের তির যায় লিভ-ইন-পার্টনারের দিকেই। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা মেয়েটিকে খুন করে বিবাহিত জীবনের পথের কাঁটা সরিয়ে ফেলতে চাইছিল সে। যদিও প্রেমিক ব্যক্তিটি এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দিল্লি পুলিশের তরফে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরেই দুই লিভ-ইন সঙ্গীর মধ্যে ঝামেলা লেগে থাকত। এতে পুলিশের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.