সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে ধরনায় বসেছিল তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধিদল। ডেরেক ও ব্রায়েন, দোলা সেন, সাগরিকা ঘোষ-সহ ১০ জন ছিলেন সেই দলে। একবছর পর সেই ঘটনায় নিয়মভঙ্গের অভিযোগে সাংসদদের সমন পাঠাল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। আগামী ৩০ এপ্রিল এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা। ওইদিন তাঁদের সকলকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে আদালতের নোটিসে। একবছর পর এভাবে দিল্লির আদালত থেকে তৃণমূল সাংসদদের সমন পাঠানোর বিষয়টি পরোক্ষে কেন্দ্রের ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
ঘটনা ঠিক কী ঘটেছিল? গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগাচ্ছে কেন্দ্র, এই অভিযোগে বারবার সরব হতে শোনা গিয়েছিল তৃণমূল নেতাদের। ইডি, সিবিআইয়ের অতিসক্রিয়তার অভিযোগও তোলা হয়। এর প্রতিবাদস্বরূপ লোকসভা ভোটের মাঝে একবার দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে অবস্থানে বসেছিলেন ডেরেক ও ব্রায়েন, সাকেত গোখলে, দোলা সেন, অর্পিতা ঘোষ, সাগরিকা ঘোষ, নাদিমুল হক, আবীররঞ্জন চট্টোপাধ্যায়-সহ ১০ জন। পুলিশের অভিযোগ, ওই সময় ওখানে ধরনার অনুমতি ছিল না। আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তা না মেনেই তৃণমূল সাংসদরা নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে জমায়েত করেছিলেন।
সেই কারণে সোমবার এই ১০ জনকে সমন পাঠিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। ৩০ এপ্রিল এই মামলার শুনানিতে সকলকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। এনিয়ে মঙ্গলবার মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ শোনা দেল তাঁর গলায়। তিনি বলেন, ”সেই গত বছর দিল্লিতে একটা কর্মসূচি করেছিলেন আমাদের সাংসদরা। এই তো খবর পেলাম, তাঁদের নাকি এখন সমন পাঠিয়েছে আদালত। এসবই করছে কেন্দ্রের সরকার।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.