ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে খারিজ ইডি’র আরজি। দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করা যাবে না গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে গিয়েও তাকে জেরা করতে পারবে না ইডি।
২০২০ সাল থেকেই গরু পাচার মামলায় তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সে বছরই এনামুল হককে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। বর্তমানে তিহার জেলেই ঠাঁই হয়েছে তার। এনামুলের সঙ্গে সায়গলের প্রত্যক্ষ যোগসাজশের প্রমাণ পান তদন্তকারীরা। এরপরই গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের নজরে আসে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। শেষমেশ তাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। বর্তমানে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছে সে। সূত্রের খবর, সিবিআই সায়গলের প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে।
একজন সরকারি কর্মী কীভাবে পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির মালিক হলেন, তার উৎস খতিয়ে দেখতে চায় ইডি। সে কারণে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানানো হয়। তবে আদালত ইডি’র আরজি খারিজ করে দেয়। জানানো হয়, দিল্লির কোনও আদালতে সায়গল হোসেনের মামলা চলছে না, তাই তাকে রাজধানীতে নিয়ে গিয়ে জেরা করা যাবে না। আপাতত প্রয়োজন হলে সিবিআই আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে গিয়ে তাকে জেরা করতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও। তাঁর প্রয়াত স্ত্রী এবং মেয়ের নামেও প্রচুর পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে বোলপুরের অন্তত ১০টি রাইস মিল। গরু পাচারের টাকাতেই এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক অনুব্রত বলেই দাবি সিবিআইয়ের। যদিও সে দাবি বারবারই খারিজ করে দিয়েছেন খোদ অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি, অনুব্রতর নির্দেশেই গরু পাচার করে টাকার লেনদেন করত এনামুল ও সায়গল। যদিও সেই দাবি খারিজ করেছেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা। প্রভাবশালী তত্ত্বে একাধিকবার জামিনের আবেদনও খারিজ হয়েছে অনুব্রতর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.