সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানবিকতার নজির গড়লেন দিল্লি পুলিশের দুই কর্মী৷ কর্তব্যের তাগিদে ছিঁচকে চোর সন্দেহে এক যুবকের উপর গুলি চালিয়েছিল পুলিশ৷ তারপর তার প্রাণ বাঁচাতে নিজের শরীর থেকে রক্ত দিল তারা৷ বুধবারের এই ঘটনাটি দিল্লির রোহিণী এলাকার৷
[আজ সর্বভারতীয় জয়েন্টের ফলপ্রকাশ, কীভাবে জানবেন রেজাল্ট?]
জানা গিয়েছে, রোহিণী সেক্টর ৯ এর অহিংসা বিহার অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দারা বুধবার ভোর ৪টে নাগাদ দুজন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে দেখতে পান৷ তারা ব্যাকপ্যাক পিঠে পাঁচিল টপকানোর চেষ্টা করছিল৷ বাসিন্দাদের খবরে হাজির হয় পুলিশ৷ ঘিরে ফেলা হয় মুখ ঢাকা দুই চোরকে৷ কিন্তু পুলিশকে দেখতে পেয়েই অভিযুক্তরা পাঁচিল টপকে রাস্তায় লাফিয়ে পড়ে পালানোর চেষ্টা করে৷ কিন্তু ওই দিকে পাহারায় ছিলেন রামাশ্রয় সিংহ, রাজেশ কুমার ও অশোক নামে আরও ৩ পুলিশকর্মী। তখন অভিযুক্তরা পিস্তল বার করে তাঁদের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালায় পুলিশও। প্রায় ৯ রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশকর্মীরা৷ তার ৫টি লাগে এক অভিযুক্ত নীতিনের ওপর- এক পায়ে, দুই হাতে ও পিঠের নিচে। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। আর এক অভিযুক্ত অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে চম্পট দেয়।
[‘বাহুবলী: দ্য কনক্ল্যুশন’-এর মুক্তির পর কী করতে চলেছেন প্রভাস?]
তারপর নীতিনকে আম্বেদকর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ৷ শুরু হয় দীর্ঘ অস্ত্রোপচার৷ ডাক্তাররা জানান, এক্ষুনি ৩-৪ ইউনিট রক্ত চাই। নীতিনের ওপর গুলি চালানো ২ পুলিশকর্মী রাজেশ ও অশোকও তৎক্ষণাৎ রাজি হন রক্তদানে। এছাড়াও প্রশান্ত বিহার পুলিশ স্টেশনের স্টেশন হাউস অফিসার এস এস রাঠিও রক্তদানে এগিয়ে আসেন৷ তাঁদের রক্তে বেঁচে গিয়েছে নীতিন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সে বিপদমুক্ত৷
প্রসঙ্গত, ডাক্তারি পেশা ছেড়ে থেকে আইপিএস হওয়া অভিষেক পল্লব নিজের রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন বাস্তারের মাও নেতা সোমরুর৷ ঘটনার সূত্রপাত মার্চ মাসের ১৮ তারিখ৷ মাও-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় পাঁচ মাওবাদী ও দুই পুলিশ কর্মীর৷ অভিষেক পল্লবেরই ছোড়া গুলি লাগে সোমরুর পেটে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.