Advertisement
Advertisement
স্যানিটাইজ

সংক্রমণ রোধে নয়া পদক্ষেপ দিল্লির, জীবাণুমুক্তকরণে ব্যবহার জাপানি মেশিনের

দিল্লির সংকীর্ণ এলাকাগুলিতেও এই মেশিন কাজ করতে সক্ষম।

Delhi CM Arvind Kejriwal using Japanese machine for sanitisation
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:April 13, 2020 2:54 pm
  • Updated:April 13, 2020 2:54 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাপানের স্যানিটাইজ মেশিন ব্যবহার করে দিল্লিতে সকাল থেকেই শুরু হল জীবাণুমুক্তকরণের কাজ। রাজিন্দর নগর, নবি করিম এলাকা-সহ আরও কয়েকটি স্থানে পুরসভার তরফ থেকে দায়িত্ব নিয়ে স্যানিটাইজ (Sanitise) করা হচ্ছে। রবিবার দিল্লির ‘হটস্পট’গুলিকে চিহ্নিত করে সেই স্থানগুলিকে জীবাণুমুক্ত করার কথা বলেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাই আজ সকাল থেকেই শুরু হল সেই প্রক্রিয়া।

দেশে আক্রান্তের নিরিখে প্রথমে রয়েছে মুম্বই, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। শনিবার দেশের ১৩ জন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পরে সংক্রমণের গ্রাফ দেখে দেশের বিভিন্ন সংক্রমিত স্থানগুলিকে লাল, গেরুয়া ও সবুজ রঙে চিহ্নিত করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নির্দেশে দিল্লির সবথেকে বেশি সংক্রমিত স্থানগুলিকে সকাল থেকেই জীবাণুমুক্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু হল। সেক্ষেত্রে স্যানিটাইজ করতে জাপানি মেশিনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আপ বিধায়ক রাঘব চড্ডা জানান, “দিল্লির লাল ও গেরুয়া স্থানগুলিতে সংক্রমণের প্রভাব দেখে জাপানের স্যানিটাইজ মেশিন দিয়ে সেই স্থানগুলি জীবানুমুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জাপান থেকে এই মেশিনটি নিয়ে আসা হয়েছে দেশে সংক্রমণ রোধের জন্য। স্থান বিশেষে এই মেশিনটি বিশেষভাবে কাজ করতে সক্ষম। এই মেশনটিকে সংকীর্ণ এলাকাগুলিতে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। জীবানুমুক্ত করতে এই মেশিনে পিপিএম সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট (Ppm Sodium Hypochorite) ব্যবহার করা হচ্ছে।” জোনাল ম্যানেজার পুষ্পেন্দ্র মেহরা জানান দিল্লির গ্রামীণ এলাকাগুলিতে জীবাণুমুক্তকরণে এই ধরণের মেশিন প্রথমবার ব্যবহার করা হচ্ছে। আগে জীবাণুমুক্তকরণের জন্য অন্য রাসায়নিক ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে পিপিএম সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট ব্যবহার করা হচ্ছে। জীবাণুমুক্তকরণ ছাড়াও সংক্রমণ রোধে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন:‘লকডাউন ভেঙে রাস্তায় কেন’, জানতে চাইতেই পুলিশকর্মীদের গণপিটুনি]

অন্যদিকে দিল্লিতে ক্রমশ বাড়ছে সংক্রামক এলাকার (Containment zone) সংখ্যা। বাবর রোড, টোডরমল রোড সংলগ্ন মোট ৪৩ টি এলাকা সিল করার করা হয়েছে। দিল্লিতে এপর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,১৫৪, যার মধ্যে ২৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৪ জন।

[আরও পড়ুন:করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার ফল, সেল্‌ফ কোয়ারেন্টাইনে মহারাষ্ট্রের আবাসন মন্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement