Advertisement
Advertisement

সুপ্রিম নিষেধাজ্ঞার ফল, দিল্লিতে কমল দূষণের মাত্রা

গোটা দেশে কি এই মডেল চালু হবে, উঠছে প্রশ্ন।

Delhi celebrates cleanest Diwali in last 3 years
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 20, 2017 11:29 am
  • Updated:October 20, 2017 11:29 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  গত কয়েক বছরে দিল্লিতে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কতটা বেড়েছে, তা এখন আর কারোর অজানা নয়। তবে দিওয়ালির রাতে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। বাজির দাপটে লাগামছাড়া দূষণের কবলে পড়তে হয় দিল্লিবাসীকে। তবে সামান্য হলেও ছবিটা বদলেছে। গত তিন বছরের তুলনায় এবার দিওয়ালিতে দিল্লিতে দূষণের মাত্রা ছিল অপেক্ষাকৃত কম। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দিল্লি ও রাজধানী এলাকায় বাজি নিষিদ্ধ হওয়াতেই দূষণের মাত্রাও কমেছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

[‘দিওয়ালির বাজিতে না, মহরমে রক্তপাতও কি নিষিদ্ধ হবে?’]

Advertisement

দিওয়ালি ও বাজি সমার্থক। শুধু দিল্লি বলেই নয়, দিওয়ালির রাতে বাজি পোড়ানো হয় সারা দেশেই। কিন্তু, বাজির শব্দ ও ধোঁয়ায় যেভাবে দূষণ বাড়ছে, তাতে উদ্বিগ্ন পরিবে্শবিদরা। আর পরিবেশ দূষণের প্রশ্নে দেশের অন্য সব শহরকেই পিছনে ফেলে দিয়েছে  দিল্লি। এই পরিস্থিতিতে দূষণ কমাতে রাজধানীতে বাজি নিষিদ্ধ করার আরজি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে আগামী ১ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লি ও রাজধানী এলাকায় বাজিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের এই পদক্ষেপে কিছুটা সুফলও মিলেছে। দিল্লির ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ ও  কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে এবারও দিওয়ালিতে দিল্লি ও লাগোয়া এলাকায় বাজি পুড়িয়েছেন অনেকেই। দূষণও বেড়েছে। তবে গত তিন বছরের তুলনায় দূষণের মাত্রা ছিল অপেক্ষাকৃত কম। জানা গিয়েছে, এবছর আলোর উৎসবে পরে রাজধানীর এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৩১৯। গত বছর ও তার আগের বছর একই সময়ে যা ছিল যথাক্রমে ৪৩১ ও ৩৪৩। তাই দিওয়ালিতে বাজি পুড়লেও, দিল্লি ও লাগোয়া এলাকায় দূষণ পরিস্থিতির যে সামান্য উন্নতি হয়েছে, তা সরকারি পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট।

[‘কোনদিন শুনব দূষণের কারণে হিন্দুদের দাহ করাও নিষিদ্ধ হয়েছে’]

প্রসঙ্গত দিল্লিতে বাজি নিষিদ্ধ করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সমালোচনা কিছু কম নয়। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের সমালোচনা করেছেন রাজনীতিবিদ থেকে সাহিত্যিক সকলেই। ত্রিপুরার রাজ্যপাল তখাগত রায় তো এমনও বলেছিলেন, যে এবার দূষণের কারণে হিন্দুদের দাহ করাও নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। লেখক চেতন ভগতের প্রশ্ন ছিল, শুধু হিন্দুদের উৎসবেই নিষে্ধাজ্ঞা কেন? তাহলে কি ইদে ছাগল ও মহরমে রক্তপাতে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে?  দিল্লিতে বাজি নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে্ মুখ খুলেছিলেন ধর্মগুরু রামদেবও। তবে এই নিষেধাজ্ঞায় যে ভাল ফল মিলেছে এয়ার ইনডেস্কই তা জানিয়ে দিল।

[হিন্দুদেরই নিশানা করা হচ্ছে, বাজি নিষিদ্ধকরণে এবার সরব রামদেব]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement