সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: মরশুমের সবচেয়ে বড় বায়ুদূষণের কবলে দিল্লি। সোমবার চলতি মরশুমের সবচেয়ে দূষিত বাতাসে শ্বাস নিলেন রাজধানীর বাসিন্দারা। গাঢ় ধোঁয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা নেমে এল মাত্র ১৫০ মিটারে। সবমিলিয়ে দূষণের জেরে বেহাল দশা দিল্লির আমজনতার। দূষণ রুখতে ইতিমধ্যেই একাধিক কড়াকড়ি শুরু করেছে দিল্লির সরকার। আরও কড়াকড়ি চেয়ে পিটিশন দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার সেই আবেদন শুনবে শীর্ষ আদালত।
রবিবার সন্ধে ৭টা নাগাদ দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা ছিল ৪৫৭ (AQI)। কিন্তু সোমবার সেই মাত্রা অনেকখানি ছাপিয়ে যায় দিল্লির দূষিত বাতাস। সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ অর্থাৎ SAFAR সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ৬টার সময় দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা ৪৮১ (AQI)। যা কিনা চলতি মরশুমের সবচেয়ে খারাপ। SAFAR-এর প্রত্যেকটি এলাকাতেই বায়ুদূষণের মাত্রা ৪৫০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এমনকী দ্বারকার সেক্টর ৮এর AQI ৫০০ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে বলে খবর SAFAR সূত্রে।
ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের AQI এদিন ৪৯৪ ছুঁয়ে ফেলেছে। এছাড়াও অশোক বিহার, বাওয়ানা, নজফগড়, পাঞ্জাবিবাগ, ওয়াজিরপুরের মতো এলাকাগুলোতেও বায়ুদূষণের মাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৪৯০-এর ঘরে। দূষিত বাতাসের সঙ্গে কুয়াশা মিলে ঘন কালো ধোঁয়াশায় ঢেকে গিয়েছে গোটা দিল্লি। দৃশ্যমানতা নেমেছে ১৫০ মিটারে। এহেন পরিস্থিতিতে বিমান পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলেই এদিন সকালে বিবৃতি দিয়েছে উড়ান সংস্থা ইন্ডিগো। খারাপ দৃশ্যমানতার কারণে দেরি হতে পারে বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রে।
উল্লেখ্য, কার্যত গ্যাসচেম্বারে পরিণত হওয়া দিল্লিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইন ক্লাসের নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। বাড়িতে বসে পড়াশোনা করবে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারাও। এছাড়াও রাজধানীতে বাইরে থেকে কোনও ধরনের ট্রাক ঢোকায় নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে নির্মাণকাজও। তা সত্ত্বেও দিল্লিতে দূষণের হার প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে। দূষণ রোধে দিল্লিতে যেন আরও কড়াকড়ি কড়া হয়, সেই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের হয়েছে। সোমবার সেই আবেদনের শুনানি হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.