সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০ সালের কৃষক বিক্ষোভের স্মৃতি উসকে উঠছে। যে আন্দোলনের জেরে সেবার পিছু হটেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। ‘বিতর্কিত’ কৃষি বিল প্রত্যাহার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার একই ধাঁচে দিল্লি (Delhi) যাত্রার ডাক দিয়েছেন পঞ্জাব ও হরিয়ানার হাজার হাজার কৃষক। যদিও কৃষক বিক্ষোভ (Farmer’s Protest) ‘রুখতে’ মরিয়া হরিয়ানা ও দিল্লি প্রশাসন। কৃষকদের কর্মসূচির আগে দিল্লিতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এক মাস অর্থাৎ আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে রাজধানীতে। অন্যদিকে সীমান্তে কংক্রিটের দেওয়াল তৈরি হয়েছে। বসানো হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া এবং পেরেকের পাটাতন।
ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (MSP) গ্যারান্টি দেওয়ার আইন, কৃষক পেনশন, শস্যবিমা এবং তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিলের দাবিতে ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘দিল্লি চলো’ ডাক দিয়েছেন পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষকেরা। মঙ্গলবার ২০০টির বেশি কৃষক সংগঠন আন্দোলনে শামিল হওয়ার কথা। রাজধানীতে পদযাত্রার পাশাপাশি বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে তাদের। এই অবস্থায় সতর্ক প্রশাসন।
দু’টি বড় স্টেডিয়ামে অস্থায়ী জেল তৈরি করেছে হরিয়ানা সরকার। কৃষক নেতাদের গ্রেপ্তার করা হলে ওই জেলে রাখা হবে। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে রাজ্যের সীমানাগুলিতে। অতিরিক্ত ৫০ কোম্পানি পুলিশ মোতায়েন করেছে মনোহর লাল খট্টর সরকার। অশান্তি এড়াতেই অম্বালা, কুরুক্ষেত্র, কইথাল-সহ একাধিক জেলায় মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মোবাইলের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। এদিকে দিল্লিতে এক মাস ব্যাপী ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। রাজধানীতেও অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে কৃষকদের দিল্লিতে ঢুকতে বাধা দিতে কেন্দ্রের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে বিরোধী দল এবং কৃষক সংগঠনগুলি। কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দিল্লি সীমান্তে পেরেক বসানোর একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সোশাল মাধ্যমে। লিখেছেন, ‘‘কৃষকের পথে পেরেক বিছানো ‘অমৃতকাল’ না ‘অন্যায়কাল’?’’ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি নেতা ভগবন্ত মান দিল্লি এবং হরিয়ানায় প্রবেশের পথগুলিকে ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখার সঙ্গে তুলনা করেছেন। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। যদিও কেন্দ্রের তরফে সোমবার দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনার জন্য কৃষক সংগঠনগুলিকে বৈঠকে বসারও ডাক দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.