সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবারের ভয়ংকর আগুনের লেলিহান শিখায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪৩জন। এখনও হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অনেকে। আর তারই মধ্যে সোমবার সকালে ফের আগুন লাগল আনাজ মান্ডির সেই একই বিল্ডিংয়ে।
ছুটির দিনে দুই দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হতে হয়েছে দিল্লিকে। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল কারখানা। রাজধানীর রানি ঝাঁসি রোডের আনাজ মান্ডির চারতলার বিল্ডিংয়ের ওই ব্যাগ কারখানায় আগুন লাগে। সেই সময় কারখানার ভিতর ঘুমাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। আচমকা আগুনের স্ফুলিঙ্গে ঘুম ভাঙে তাঁদের। চোখ খুলেই দেখেন ভিতরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলের মোট ৩০টি ইঞ্জিন। কিন্তু ৪৩ জনের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সেই ভয়ংকর ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে ফের আগুন লাগল একই বিল্ডিংয়ে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের চারটি ইঞ্জিন। কীভাবে ফের এদিন সকালে আগুন লাগল, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
Delhi: A fire has broken out in the same building in Anaj Mandi, Rani Jhansi Road where 43 people had died in a fire incident yesterday. Four fire tenders have been rushed to the spot. pic.twitter.com/f1heEaQ7dU
— ANI (@ANI) December 9, 2019
রবিবার কারখানার ভিতর থেকে সকলকে উদ্ধারের পর গোটা বিল্ডিংয়ে তল্লাশি চালায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। কোথাও ধিকিধিকি আগুন জ্বলছে কিনা, বা কেউ ভিতরে আটকে আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়। তারা নিশ্চিত করে ভিতরে কেউ আটকে নেই। কিন্তু ফের কীভাবে আগুন লাগল, এনিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আসলে বিল্ডিং ও আশেপাশে প্রচুর প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস মজুত ছিল। ফের সেখান থেকেই আগুন লাগল কি না, তা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে, ঘটনার দিন থেকেই বিল্ডিংয়ের মালিক রেহানের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। রবিবারই তাকে আটক করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ২৮৫ নম্বর ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.