সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল। এই অভিযোগ তুলে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ভরতি নিতে অস্বীকার করল স্কুল। সব স্কুলের তরফে ওই ছাত্রীকে ভরতি না নেওয়ার স্পষ্ট কোনও কারণ দেখানো হয়নি। কিন্তু একটি স্কুল সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে ধর্ষিতাকে তারা তাদের স্কুলে ভরতি নেবে না। এই নিয়ে ওই ছাত্রীর বাবা ও মা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। শুক্রবার পুলিশের তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে দেরাদুনে। গত ১৪ আগস্ট সেখানকার একটি স্কুলে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল এক ছাত্রী। ১৭ সেপ্টেম্বর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ সুপার নিবেদিতা কুকরেতি জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর থেকে কোনও স্কুল ওই ছাত্রীকে ভরতি নিতে চাইছে না। একটি স্কুলের তরফে এক অদ্ভুত যুক্তি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই ছাত্রী যেই স্কুলে ভরতি হবে, সেই স্কুলেরই পরিবেশ নষ্ট হবে। তাই ওই ছাত্রীকে স্কুলে ভরতি নেওয়া যাবে না।
[ দশেরার মেলায় মহিলাদের আক্রমণ, প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা ]
নিবেদিতা কুকরেতি আরও জানিয়েছেন, ঘটনাটি নিয়ে তাঁরাও বেশ অবাক। তবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, এখন স্কুলে পুজোর ছুটি চলছে। সোমবার থেকে স্কুলগুলি খুলবে। তারপরই ওই স্কুলে তারা একটি টিম পাঠাবেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখবে তারা। এর পাশাপাশি অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থাও নিতে পারে পুলিশ। জানানো হয়েছে এমনই। তবে সোমবারের আগে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
দেরাদুনের স্কুলগুলি ওই ছাত্রীকে ভরতি নিতে অস্বীকার করায় তাকে বাইরের স্কুলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার বাবা ও মা। উত্তরাখণ্ডের শিশু সুরক্ষা ও অধিকার দপ্তরের চেয়ারম্যান যোগেন্দ্র খান্দুরি জানিয়েছেন, মেয়েটির সঙ্গে এমন ব্যবহার মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেছেন, ওই ছাত্রীকে ভরতি নিতে কীভাবে অস্বীকার করতে পারে স্কুল? যদি তার মেধা থাকে, তবে কেন তাকে ভরতি নেওয়া হবে না?
[ কুর্নিশ, একাই সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার কৃষিঋণ মেটাবেন অমিতাভ ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.