Advertisement
Advertisement
Dehradun accident

ধড় থেকে মুণ্ডু বিচ্ছিন্ন, দেরাদুন দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ হাতে এলেও ধন্ধে পুলিশ

বেঁচে যাওয়া একমাত্র পড়ুয়া মুখ না খোলা পর্যন্ত ধন্ধে পুলিশ।

Dehradun accident, What happened in the last moments before 6 friends died

দুর্ঘটনার পর দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া গাড়ি।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:November 16, 2024 11:10 pm
  • Updated:November 16, 2024 11:10 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেরাদুনে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় তদন্তকারীদের হাতে এসেছে সিসিটিভি ফুটেজ। তবে ধন্দ্ব কাটছে না কোনওভাবেই। উঠছে নানা প্রশ্ন। শুরুতে মনে করা হচ্ছিল আকণ্ঠ মদ্যপান করে ঝড়ের গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। যার জেরেই ঘটে দুর্ঘটনা। তবে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে গাড়ির গতি স্বাভাবিক ছিল। ফলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া একমাত্র পড়ুয়া সিদ্ধেশ আগরওয়াল যতক্ষণ না কথা বলার অবস্থায় আসছে ততক্ষণ আসল ঘটনা জানা কঠিন বলেই মনে করা হচ্ছে।

সোমবার রাতে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে পথ দুর্ঘটনায় ছ’জন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে যায় গাড়ি। দুর্ঘটনা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে ধড় থেকে মুণ্ডু আলাদা হয়ে যায় দুজনের। দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক তত্ত্ব উঠে আসে। একটি তত্ত্ব বলছে, কয়েকটি গাড়ির মধ্যে রেষারেষি চলছিল। অপর একটি তত্ত্ব বলছে, নিহতেরা মত্ত অবস্থায় গাড়িতে চেপে ফিরছিলেন। তবে দুর্ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের তরফে জানা যায়, যে ইনোভা গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল, তাতে সাত জন যাত্রী ছিলেন (চার তরুণ ও তিন তরুণী)। সকলেরই বয়স ১৯ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। গাড়ি দুর্ঘটনার পর একমাত্র জীবিত উদ্ধার হয়েছেন সিদ্ধেশ আগরওয়াল নামে বছর ২৫-এর এক তরুণ। তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

এরই মাঝে সিসিটিভিতে ওই পড়ুয়াদের গতিবিধি খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেখান থেকে জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার রাতে স্বাভাবিক গতিতেই ছিল ছাত্রছাত্রীদের গাড়ি। যে ট্রাকে ধাক্কা মেরেছিল গাড়িটি, সেই ট্রাকের গতিবিধিও সিসিটিভি ফুটেজে খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেখানে দেখা গিয়েছে, কিসাননগর চওক থেকে ওএনজিসি চওক পর্যন্ত স্বাভাবিক গতিতেই ছিল ট্রাকটিও। কিন্তু তার পরেও কী ভাবে এই ভয়ানক দুর্ঘটনা, তা নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে যেভাবে ধড় মাথা আলাদা হয়ে গিয়েছে তা তীব্র গতি ছাড়া সম্ভব নয়। ফলে পরস্পর বিরোধী তত্ত্বের উত্তর খুঁজতে মরিয়া পুলিশ।

নানা জল্পনার মাঝে এই সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত সিদ্ধেশ আগরওয়ালের বাবা। তিনি বলেন, বাইরে নানা রকম তত্ত্ব ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ বলছে রেষারেষির জেরে মৃত্যু, কেউ বলছে ওরা মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল। আমার সকলের কাজে আবেদন এই সব জল্পনা যেন কেউ বিশ্বাস না করেন। যা দাবি করা হচ্ছে সব ভুল। পুলিশ সব ঘটনার তদন্ত করছে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement